ঢাকা থেকে প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বিপ্লব প্রধান (৪০)। এ সময় জাতীয় সেবা নাম্বারে (৯৯৯) ফোন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ প্রটোকলসহ অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করেন।
শুক্রবার দুপুরে মতলব পৌরসভাধীন উত্তর দিঘলদী গ্রামের শমসের আলী প্রধানীয়া বাড়ি থেকে সেই বিচারপতি পরিচয় দেওয়া বিপ্লব প্রধানকে আটক করেছে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।
জানা যায়, দাউদকান্দি পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) থেকে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে জানানো হয় যে, একজন বিচারপতি মতলবে যাচ্ছেন। পুলিশ বিপ্লব প্রধানকে প্রটোকল দিয়ে তার বাড়ি পৌঁছে দেয়।
এ সময় তার বাড়িঘরের জরাজীর্ণ পরিবেশ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। খোঁজখবর নিয়ে দেখেন তিনি পেশায় একজন ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী। পরে তাকে প্রাইভেটকারসহ আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃত বিপ্লব প্রধান উপজেলার দিঘলদী গ্রামের মৃত মাহবুব প্রধানের ছেলে। মতলব সরকারি কলেজ গেট এলাকায় তার একটি ওয়ার্কশপ দোকান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে দাউদকান্দি হয়ে মতলবে আসার পথে আটক বিপ্লব প্রধান জাতীয় সেবা নাম্বারে ফোন দিয়ে পুলিশ প্রটোকল চান। এ সময় জাতীয় সেবা কেন্দ্র থেকে দাউদকান্দি পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে বিষয়টি অবগত করা হয়।
দাউদকান্দি পুলিশ কন্ট্রোল রুম মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন মিয়াকে অবগত করেন। পরে বাড়ি থেকে প্রাইভেটকারসহ বিপ্লবকে আটক করা হয়। দিনভর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কলেজ গেট এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বিপ্লব প্রধান কিছুদিন আগে স্ট্রোক করেছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি পূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে বিচারপতি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।