ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট:
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করায় পৃথক অভিযানে ৫৫ জেলে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৪ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ছাড়া বাকি ২১ জেলের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে নৌ পুলিশ।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও নৌ থানা থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. মেশকাতুল ইলসাম বলেন, রোববার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২০ জন অসাধু জেলে আটক এবং এক লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক জেলেদের প্রত্যেককে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সহযোগিতা করেন। এসময় কচুয়া উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ ধরা অবস্থায় ৩৫ জেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ১৩ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ দিন করে এবং ১ জনকে এক বছর কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার। আর বাকী ২১ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
অভিযানের সময় জহিরুল ইসলাম (১০) নামে একজন শিশু জেলে ছিল। তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সতর্ক করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেন।
ওসি আরও বলেন, আটক জেলেদের কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৬শ’ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় ৭টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের তৈরি জেলে নৌকার মধ্যে ৩টি নৌকা পানিতে ডুবিয়ে অকার্যকর করা হয়েছে। আর বাকি ৩টি নৌকা নৌ থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। জব্দকৃত ১৭৮ কেজি ৫শ’ গ্রাম ইলিশ মাছ এর মধ্যে ১২৫ কেজি ৫শ’ গ্রাম ইলিশ মাছ হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়। অবশিষ্ট ৫৩ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।