মাসুদ রানা।।
চাঁদপুর জেলা বৃক্ষমেলা’২৪ এর শুভ উদ্বোধন হয়েছে।
“শেখ হাসিনার নির্দেশ, জলবায়ু সহিষ্ণু বাংলাদেশ। বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আষাঢ়ের বৈরী আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে এ মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ জুলাই শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, গাছ আমাদের পরম বন্ধু, বক্তব্যের মাধ্যমে এসেছে যে, এক ভদ্রলোক সাত দিন হাসপাতালে থেকে অক্সিজেনের বিল দিতে গিয়ে উপলব্ধি করেছে যে গাছ আমাদের কত টাকার অক্সিজেন দেয়। কিন্তু আমরা কি করছি সুযোগ পেলেই গাছ কেটে ফেলছি। আর গাছ লাগানোর চেষ্টাও করি না লাগাইও না। হ্যাঁ প্রয়োজনে গাছ কাটতে হবে, তবে একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগাতে হবে। এই মনোভাব আমাদের থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন লেখাপড়া করেছি তখনই আমরা পড়েছি যে বাংলাদেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশে বনভূমি থাকা উচিত ছিল। কিন্তু আছে মাত্র ১৬ শতাংশে। বাকি ৯ শতাংশে নেই, আমাদের এখনো কোন কোন উপজেলায় বনায়ন বেশি আবার কোন কোন জেলায় বনায়ন কম। তাই আমি সকল শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো যে এখনই গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময় প্রত্যেকেই অন্তত দুই টি করে গাছ এই বর্ষা মৌসুমে গাছ লাগাবে এবং পরিচর্যা করে তোমরা যেভাবে বড় হবে ঠিক তোমাদের সাথে সাথে যেন এইভাবে বলা হয়। আমি মনে করি আমার জীবনে আমি যদি পাঁচটা গাছ লাগিয়ে বড় করতে পারি তাহলে প্রকৃতির কিছুটা ঋণ হলেও পরিশোধ করতে পারলাম।
সেসময় শিক্ষক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডঃ সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী।
এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগীয় কর্মকর্তা জি এম মোঃ কবির।
উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, চাঁদপুর জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাসান ইমাম বাদশা, মাননীয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির প্রতিনিধি এডঃ সাইফুদ্দিন বাবু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোঃ ইব্রাহীম হোসেন, গীতা পাঠ করেন চন্দ্রনাথ দাস।