গত ১৪/০১/২০২৪খ্রি. তারিখ অনুমান ২২.১০ ঘটিকার সময় এসআই (নিঃ) নাজমুল শাকিব কোতয়ালী মডেল থানা, কুমিল্লা সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ কোতয়ালী মডেল থানার জিডি নং-৯৮৯, তাং- ১৪/০১/২০২৪ খ্রি: মূলে থানা এলাকায় ডিউটিকালে ২১:৫০ ঘটিকায় ছোটরা এলাকায় ডিউটি করা অবস্থায় জানতে পারেন কতিপয় লোক চকবাজার থেকে তেলিকোনাগামী সড়কের উপর অবস্থান করে যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহনের চালকদেরকে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে যানবাহনের গতিরোধ করে চালকদের নিকট থেকে অবৈধ রশিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করিতেছে।
বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতপূর্বক নির্দেশ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ঘটনাস্থল চকবাজার থেকে তেলিকোনাগামী সড়কের তেরীপট্টিতে প্রবেশের রাস্তার উপর পুলিশ পৌছামাত্রই চাঁদা আদায়ে নিয়োজিত থাকা ১। মোঃ হোসেন (৪৬) পিতা- মৃত ছালেক সাং-পূর্ব চান্দপুর (মোল্লা বাড়ি) হালসাং-পূর্ব চান্দপুর (রশিদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া) ২। মোঃ সবুজ (২৫) পিতা-মিন্টু সাং-গোবিন্দপুর (ছদু সদাঁতের বাড়ি) উভয় থানা-কোতয়ালী মডেল, ৩। মো: মোতাহের হোসেন (৪৫) পিতা-মৃত ইব্রাহিম হোসেন সাং-ধনাজোড় থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা সহ তাদের সঙ্গীয় ৪। আবু জাহের (৪২) পিতা-মৃত আঃ মান্নান সাং-শাসনগাছা, ৫। শরীফুল ইসলাম রাসেল (৪০) পিতা-মৃত ইউনুছ মিয়া সাং-শুভপুর, উভয় থানা-কোতয়ালী মডেল ৬। আলম (৪৫) পিতা-অজ্ঞাত সাং-আশ্রাফপুর থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লাগণ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন চাঁদাবাজ ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে। বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহযোগীতায় ১,২,৩ নং চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করেন অপর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধৃত আসামীদের দখল হতে ১। বাংলাদেশী নগদ টাকা ১৯৬০/-(এক হাজার নয়শত ষাট টাকা) যাহার মধ্যে ১০০/- টাকার নোট ০৮টি, ৫০/-টাকার নোট ০২টি, ২০/- টাকার নোট ৩৪টি, ১০/- টাকার নোট ৩৮টি, এবং ২। গোলাপী, হলুদ ও আকাশী রংয়ের চাঁদা আদায়ের ভুয়া রশিদ বহি জব্দ করেন।
চাঁদাবাজরা পরস্পর যোগসাজসে যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন চালকদেরকে প্রাণে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে যানবাহনের গতিরোধ করে ত্রাস সৃষ্টিসহ চালকদের নিকট থেকে রশিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩৮, তাং-১৫/০১/২০২৪খ্রি: ধারা-আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ এর ৪/৫. ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিটি কর্পোরেশনের নাম ব্যবহার করে অবৈধ চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। সিটি কর্পোরেশন এর সহিত যোগাযোগে জানা যায়, এরূপ কোন চাঁদা আদায় বা উত্তোলনের আইনগত বৈধতা নেই, তারা এরূপ কোন লাইসেন্স প্রদান করেনি।
উক্ত চাঁদা আদায়ের নেপথ্যের ব্যক্তিবর্গ এবং মূল হোতাদের সনাক্ত করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।