বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মবিসর্জন দেওয়া বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইসলামিক ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ‘শহীদদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় এসব চিঠি লিখেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের সামনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্লাবের সদস্য ও অতিথিসহ প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ও তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ব্যাতিক্রমী এ আয়োজন করে সংগঠনটি। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা দশ লেখককে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া বাছাইকৃত লেখা ক্লাবের দ্বি-মাসিক ম্যাগাজিন ‘লালন-কুঠি’ তে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া চিঠির অনুলিপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন দপ্তর ও শহীদ পবিরারের সদস্যদের নিকট প্রেরণ করা হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ব্যাতিক্রমী এ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির শাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদরা আমাদের আবেগ ও অনুপ্রেরণা। তাদের উদ্দেশ্যে অনেক কথাই মনে জমা থাকে কিন্তু কখনো বলা হয় না। আজ রোটার্যাক্ট ক্লাবের এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মনের সেই কথাগুলো বলতে পেরেছি। যদিও এই কথাগুরো শহীদদের কাছে পৌঁছাবে না তবুও মনের আবেগ নিয়ে শহীদদের ত্যাগকে স্মরণ করে ও স্বাধীন এই দেশকে নিয়ে আমাদের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি।’
এরআগে বেলা চারটায় একই স্থানে ক্লাবের ৫৮৯/১০ তম নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে নিয়ে তাৎক্ষণিক বক্তব্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় ক্লাবের সভাপতি রোটার্যাক্টর মোজাহিদুল ইসলাম মুর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক রোটার্যাক্টর মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোটার্যাক্টর জিয়াউর রহমান আরিয়ান ও সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস রোটার্যাক্টর দিদারুল ইসলাম রাসেলসহ অন্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্লাবের সভাপতি রোটার্যাক্টর মোজাহিদুল ইসলাম মুর্শেদ বলেন, ‘ক্লাবের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরতে ও শহীদদের ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের এই আয়োজন। শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। বাছাইকৃত চিঠিগুলো ক্লাবের ম্যাগাজিন ও গণমাধ্যমে প্রকাশের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিকট প্রেরণের ইচ্ছে আছে।’