আজ এশিয়ান গেমসে একের পর এক হারের খবর ছিল বাংলাদেশের। তবে দিনের শেষে এসে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে পুরুষ ফুটবল। শক্তিশালী চীনকে রুখে দিয়েছে তারা। ম্যাচটি গোলশুন্য ড্র হয়েছে।
চীনের বিপক্ষে নাকানিচুবানি খেয়েছে গ্রুপের অন্য দুই দল ভারত ও মিয়ানমার। বাংলাদেশ আবার ঐ দুই দলের বিপক্ষে হেরেছিল। তাই চীনের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারবে এমনটাই অনুমেয় ছিল। সকল অনুমান ভুল প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও অবাক হওয়ার ছিল না। একাধিক গোলের সুযোগ মিস না হলে ফলাফল ভিন্ন হতেই পারতো।
রবিবার শ্যাংচেন স্পোর্টস সেন্টার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ-গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ আর গোলকিপার মিতুল মারমা ছিলেন দুর্দান্ত। চীনের ফরোয়ার্ডদের বেশ কয়েকটি গোলের প্রচেষ্টা তিনি নস্যাৎ করে দেন। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তেও দারুণ একটা সেভ করেন মিতুল। বাংলাদেশ দল শুধু ম্যাচে রক্ষণাত্মকই খেলেনি, চীনা সীমানায় আক্রমণেও উঠেছে। ৫৮ মিনিটে রবিউল হাসান গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ৮৩ মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন ফাহিম।
এশিয়ান গেমসে চীনের বিপক্ষে এটি ছিল বাংলাদেশের তৃতীয় লড়াই। প্রথম লড়াইটি ছিল ১৯৮২ সালে, দিল্লি এশিয়াডে। সেবার বাংলাদেশ জাতীয় দল হেরেছিল ১-০ গোলে। ২০০২ সাল থেকে এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রতিযোগিতা হয়ে যাওয়ার পর প্রথমবারই চীনের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। বুসানে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ৪-১ গোলে।
চীন জাতীয় দলের বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত ৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রথম মোকাবিলা ১৯৮০ সালের এশিয়ান কাপে। চীনের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সর্বশেষ ম্যাচ ৩৪ বছর আগে, ১৯৮৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। বাছাইয়ের অ্যাওয়ে ম্যাচের স্কোরলাইনও ছিল একই, যা এখন পর্যন্ত চীনের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচ। চীনের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছিল প্রথম মোকাবিলায়। স্কোরলাইন ছিল ৬-০। ১৯৮২ সালের দিল্লি এশিয়াড ছাড়াও ১৯৮৮ সালে আবুধাবিতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে চীনের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে।