যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগামী মাসে তাইওয়ান সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
কিন্তু পেলোসির এ সফর নিয়ে চিন্তিত খোদ বাইডেন প্রশাসন। তাদের শঙ্কা, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে গেলে বিষয়টিকে ‘সীমা অতিক্রম’ হিসেবে বিবেচনা করবে চীন এবং এ থেকে বের হওয়া যাবে না।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ন্যান্সি পেলোসির এ সফরের বিরোধীতা করছে।
সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সদস্যরা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের শঙ্কা, পেলোসি তাইওয়ান গেলে ক্ষীপ্ত হতে পারে চীন।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়না বিষয়ক প্রধান বিশেষজ্ঞ রবার্ট সাটার বলেছেন, বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে উভয় সঙ্কটে আছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। কারণ যদি তারা পিছিয়ে যায়। যদি তারা ন্যান্সি পেলোসিকে তাইওয়ান যেতে নিরুৎসাহিত করেন তাহলে মনে হবে তারা দুর্বল, তারা চীনের কাছে নতি স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, চীন কংগ্রেস সদস্যদের তাইওয়ানে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে এটি নিয়ে তারা খুব সিরিয়াস।
তিনি আরও বলেন, চীন এবার খুব সম্ভবত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পেলোসি যদি সত্যিই তাইওয়ানে আসেন তাদের এবার কিছু একটা করতে হবে।
এদিকে ন্যান্সি পেলোসি তার সফরের ব্যাপারে এখনো কোনো ঘোষণা না দিলেও তিনি বলেছেন, আমাদের দেখাতে হবে তাইওয়ানের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর বাদ দেওয়াই উচিত।
এর আগে সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লাও জিঝিয়ান বলেছিলেন, পেলোসি তাইওয়ানে আসলে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী থাকবে।
সূত্র: এএফপি, ফ্রান্স ২৪