ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ সাবেক আইজিপি মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা, ট্রাইব্যুনালের লিখিত আদেশ প্রকাশ ফের রাজপথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছায়া তদন্তে নেমেছে র‌্যাব : ডিজি সাকিবের দলে ফেরার বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা দিলেন বিসিবি পরিচালক দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে : মির্জা ফখরুল রাণীশংকৈলে যৌতুকে পাওয়া প্রাইভেটকার  দুর্ঘটনায় আহত-৪ যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না : প্রশ্ন তারেক রহমানের শরীয়তপুর-যাত্রাবাড়ী বাস চলাচল বন্ধ, নেপথ্যে যুবদল নেতার চাঁদা দাবি

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা

ছায়া তদন্তে নেমেছে র‌্যাব : ডিজি

সাংবাদিক

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় র‌্যাব ছায়া তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান।

শনিবার (১২ জুলাই) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

এই হত্যাকাণ্ডে এরই মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। এর মধ্যে র‌্যাব এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

র‌্যাব ডিজি শহিদুর রহমান জানান, গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (১১ জুলাই) কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর (২৮) ও ৫ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২)-কে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব ডিজি বলেন, “মিটফোর্ডে যে ঘটনা ঘটেছে, এর মূল তদন্ত করছে ডিএমপি। কারা জড়িত এবং কীভাবে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে তা ডিএমপি-ই বের করবে। আমরা ছায়া তদন্তের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করছি এবং তা গোপনভাবে অব্যাহত রয়েছে।”

প্রাথমিক তদন্তে র‌্যাব কী পেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ছায়া তদন্তের ফলাফলের বিষয়ে কিছু বলার পর্যায়ে আমরা এখনও পৌঁছাইনি। তবে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। মামলার মূল তদন্তকারীরাই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সক্ষম।”

ঘটনার পেছনে কী কারণ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এটি স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত বিরোধ থেকে ঘটে থাকতে পারে। তবে বিস্তারিত বলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। আমরা সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
৫২৩ Time View

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা

ছায়া তদন্তে নেমেছে র‌্যাব : ডিজি

আপডেটের সময় : ০৪:১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় র‌্যাব ছায়া তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান।

শনিবার (১২ জুলাই) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

এই হত্যাকাণ্ডে এরই মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। এর মধ্যে র‌্যাব এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

র‌্যাব ডিজি শহিদুর রহমান জানান, গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (১১ জুলাই) কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর (২৮) ও ৫ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২)-কে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব ডিজি বলেন, “মিটফোর্ডে যে ঘটনা ঘটেছে, এর মূল তদন্ত করছে ডিএমপি। কারা জড়িত এবং কীভাবে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে তা ডিএমপি-ই বের করবে। আমরা ছায়া তদন্তের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করছি এবং তা গোপনভাবে অব্যাহত রয়েছে।”

প্রাথমিক তদন্তে র‌্যাব কী পেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ছায়া তদন্তের ফলাফলের বিষয়ে কিছু বলার পর্যায়ে আমরা এখনও পৌঁছাইনি। তবে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। মামলার মূল তদন্তকারীরাই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সক্ষম।”

ঘটনার পেছনে কী কারণ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এটি স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত বিরোধ থেকে ঘটে থাকতে পারে। তবে বিস্তারিত বলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। আমরা সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।