সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখসহ পুরো তফসিলের তথ্য। অথচ ভোটগ্রহণের দায়িত্ব যে সংস্থার সেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, এর কোনো সত্যতা নেই। এমন তথ্য ছড়িয়ে এই বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশন।
গতকাল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, ফেসবুকে নির্বাচন সংক্রান্ত যেই তথ্যটি ঘুরছে তা আদৌ সত্য নয়।
কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন নিয়ে তাদের ঘোষণা করা রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ চলছে। নির্বাচনের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বর্তমান একাদশ সংসদের মেয়াদ প্রায় শেষ। এখন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করে চলছে নির্বাচন কমিশন।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় জাতীয় নির্বাচন হতে হবে এই বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে।
কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আর ভোট হতে পারে ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির শুরুতে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই তথ্যে বলা হয়েছে, আগামী ৯ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল, ১৯ নভেম্বর মনোনয়ন জমার শেষ দিন, ২২ নভেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে, ২৯ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আর ২৩ ডিসেম্বর হবে ভোট।
অথচ কমিশন বলছে এর কোনো প্রকার সত্যতা নেই।
জানা গেছে, ফেসবুকে যে তথ্যটি ছড়িয়েছে তা মুলত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের। ওই বছরের ৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২২শে নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৯ নভেম্বর আর ভোট গ্রহণ হয় ২৩ ডিসেম্বর।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেছেন, এটা শতভাগ গুজব।
এই তথ্যের কোনো সত্যতা বা ভিত্তি নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ গুজবে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয় আমি সেই অনুরোধ জানাব। কোন উদ্দেশে কে বা কারা এমন ভুল ও বানায়োট তথ্য প্রচার করছে এটা নিয়ে আমাদের ধারনা নেই। তবে যথাযথ কতৃপক্ষ অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
ইসি আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি সেটা লক্ষ রেখে কাজ চলছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী যথাসময়ে কমিশন তফসিল ঘোষনা করবে ও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা করা যায়।