তারেক রহমান বলেন, “ইতিহাসের নৃশংসতম ফ্যাসিস্ট শক্তির পতনের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির অহেতুক বিতর্কে জড়ানো শহীদদের আত্মত্যাগকে অসম্মান করার শামিল।”
তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং দেশ-বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতির মূল অঙ্গীকার হবে।
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য ঘোষণার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটবে জনগণের। মানুষ নিজেদের ভোট নিজেরাই দিয়ে পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে পারবে—এটাই এখন দেশের মানুষের প্রত্যাশা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে অনৈক্য তৈরি হলে পতিত ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনগণ যখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে, তখনই জনগণ শক্তিশালী হবে, আর জনগণ শক্তিশালী হলে দেশও শক্তিশালী হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে বিএনপির শক্তি হলো জনশক্তি। তাই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং এমন কোনো কাজে জড়ানো যাবে না যাতে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।
মূল বার্তা হিসেবে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন—জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন।