সরকার পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে অভিযোগ তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে সারাদেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছেন। জনগণ তাদের হ্যাডম দিয়ে আপনাদেরকে রুখে দিবেন।
একজনের (শাহাজাহান ওমর) হ্যাডমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং সরকারের নির্বাচন নাটক রুখে দিতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চিকিৎসকদের এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিম প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়
বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আমরা কোন দেশে বাস করছি? আজকে গুম খুন ও মানবাধিকার লংঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করতে দেয়নি। সরকার এতো ভীতু যে তাদেরকে কর্মসূচি করতে দেয় না।
তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের জীবন চলে সেই পুলিশ বেআইনিভাবে দমন পীড়ন ও গ্রেপ্তার করছে। তারা গণতন্ত্রের আন্দোলন রুখে দিতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা যখনই সমাবেশ দিই তখনই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। শান্তি বাহিনীর মতো বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মনে রাখবেন এটাই শেষ দিন নয়।