পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দ্বিতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে নাবিকদের ছাড়াতে মুক্তিপণ দেয়া হবে কি না কৌশলগত কারণে এখনই তা প্রকাশ করা হবে না।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি জাহাজ আটক করা সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। জাহাজ আটকের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদে অনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার।
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।
তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার দাবি করেছেন সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলের (কেএসআরএম) সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিং লাইনসের।
এর আগে, এই কোম্পানির একটি জাহাজ (এমভি জাহানমণি) ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার ২৬ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ১০০ দিন পর তাদের মুক্ত করে এনেছিল কোম্পানি। ফলে এবারও পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় কবির গ্রুপ।