২৪ ই জুন, ২০২৪, সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫৪ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস পারভীন আক্তার।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার মিসেস সাদিয়া হালিমা ও শাকিব হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা একজন মিতব্যয়ী মানুষ ছিলেন।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ইতিহাসের অগ্রনায়ক। কিন্তু যে বিষয়টি আমাদের উপলব্ধির বিষয় বা তাকে নিয়ে আমাদের যে নানা মাত্রিক কথার অবকাশ রয়েছে সেটি হল, তার অনেকগুলো গুণাবলীর মধ্যে একটি হলো নেতৃত্বের গুণাবলী। তখনকার সমসাময়িক যে নেতৃবৃন্দ ছিল তাদের সবাইকে তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তার যারা অগ্রজ নেতা ছিল তাদেরকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তার দূরদর্শী কথা, তার চিন্তাভাবনা আর তার সাহস দিয়ে।
তিনি আরও বলেন,
বঙ্গবন্ধুর অগ্রজ নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। কিন্তু শহীদ সোহরাওয়ার্দি ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য ছিল। সে পার্থক্যটি হলো বাংলাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু যেই সর্বাত্মক চিন্তা করেছেন বা অনুভব করেছেন, সেটা আমরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দির মধ্যে দেখতে পাইনি।
সেমিনারের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. জেবুন্নেসা বলেন,
জাতির পিতা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মুলের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে জাতির পিতার ন্যাশনাল কাউন্সিলে বক্তব্যের উদধৃতি তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা সেখানে বলেছিলেন, ” আপনারা যারা আমলা রয়েছেন, তারা দুর্নীতি করবেন না। আর যারা এম পি, তারা সচিবালয়ে ঘুরবেন না, জনগনের কাছে যাবেন।”
সেমিনারের বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৫০ পয়সা হাতে দিয়ে নারায়ণগঞ্জে একটি প্রোগ্রাম করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রোগ্রাম শেষ করে এসে ওই দিনই মাওলানা ভাসানীর হাতে ৫০ পয়সা ফেরত দেন। তখন ভাসানী প্রশ্ন করেণ, এটা ফেরত দিলে, তুমি কি প্রোগ্রাম করো নি। তখন বঙ্গবন্ধু উত্তর দিলেন, “আমি সাইকেল চালিয়ে গিয়ে নারায়ণগঞ্জে প্রোগ্রাম শেষ করেছি সুন্দরভাবে”। এ থেকে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কতটা মিতব্যয়ী ছিলেন।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বড়ো স্বপ্ন দেখতেন। আমরা সবাই জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
সেমিনারে উপস্থিত মিসেস
পারভিন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ রয়েছে, সেই আদর্শেই যেন আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারি।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার মিসেস সাদিয়া হালিমা বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন আমাদের শিক্ষাগুরু। তার চিন্তা-ভাবনা, চলা- ফেরা, এক কথায় দেশের জন্য সকল কর্ম দিয়ে আমাদেরকে যা শিখিয়ে গিয়েছেন সেটা আমাদের প্রত্যেকের অনুসরণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার জনাব মোঃ শাকিব হোসেন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, জাতির পিতার জীবনে প্রতিটি দিন কোন না কোন ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে ।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।