১৫ ই জুন, ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৪৫ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান।
সেমিনারের গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে আরও যুক্ত ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও ব্যাংকার সন্দীপন বিশ্বাস, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর একদল শিক্ষার্থী।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা কখনো কারো নাম ভুলতেন না।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন ছাত্রসমাজকে এবং পাকিস্তানীদের দুঃশাসন দমন করার জন্য আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেছিলেন। ২৯ বছর বয়সে আওয়ামী মুসলিম লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলা ,জীবনানন্দের রূপসী বাংলা এবং নজরুলের জয় বাংলা আদর্শকে ধারণ করে তাদের পথে এগিয়ে গিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি কে উন্নত করতে চেয়েছেন।অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন, কৃষক, শ্রমিক এবং মেহনতি মানুষদেরকে। ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের ভাষণে তাইতো তিনি বলেন , ” এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ”
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দেয় কৃষক , কৃষকের সন্তান শ্রমিক, শ্রমিকের সন্তান এবং বাংলার মেহনতি মানুষ।
সর্বোপরি মানুষ তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এটা ছিল তার প্রথম বিপ্লব। আর, দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক। তিনি তখনই বিশেষভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুগঠিতভাবে পরিচালনার জন্য নানা পরিকল্পনা করেছিলেন।
অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকদের উন্নত করতে চেয়েছিলেন ভূমি সংস্কার করতে চেয়েছিলেন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন আর পরিবেশ সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে তিনি বাকশাল গঠন করেছিলেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ আকলিমা জাহান বলেন, ১৯৭২ এর ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং সাড়ে তিন বছর তিনি দেশ গঠনের সময় পেয়েছিলেন এ সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশ গঠনের জন্য সবকিছু করে গেছেন। সংবিধান রচনা করেছেন অর্থনীতিক কাঠামো গঠন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ” নিজ নিজ জায়গা থেকে আপন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করলে দেশে কোন বিশৃঙ্খলা হবে না।”
সেমিনারের গেস্ট অব অনার পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক আলোচনা করেন তৎকালীন সমসাময়িক দেশের রাষ্ট্র কাঠামোর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের তুলনা নিয়ে।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করেছিলেন যা ছিল উন্নত এবং সুগঠিত। একটি দেশ কতটা অগ্রসর হবে তা কেবল তার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সুপরিকল্পনার উপরে নির্ভর করে। বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন।
সেমিনারে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রূপসা থেকে পাটুরিয়া সমগ্র জুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সুত্রে গেঁথেছেন। ১৯৪৭ দেশভাগের পর থেকেই জাতির পিতা সীমান্ত রক্ষায় অটুট ছিলেন।
বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস পারভীন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন আমাদের জন্য সংগ্রাম করেছেন, তেমনি আমাদের নিজেদের সংগ্রাম নিজেদের করতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।