২৩ ই জুন, ২০২৪, রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫৩ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস্ অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট এর বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. সাবের আহম্মেদ চৌধুরী।
সেমিনারের গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ড. সাইফুর রহমান ( ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল, ময়মনসিংহ রেঞ্জ)
সেমিনারে বিশেষ অতিথিবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার ও বাংলাদেশ স্টাডিজ এর পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিসেস আকলিমা জাহান ও সংগীতা বিশ্বাস।
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস পারভীন আক্তার ও নাঈমা ফেরদৌস।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন বিশ্বাস ও জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অবিচল চিত্তে কাজ করে গিয়েছেন।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক সর্ববৃহৎ সংগঠন। যা বাংলাদেশ স্বাধীনতার পূর্ববর্তী থেকে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ ভাবে পাশে থেকেছে। ভাষা আন্দোলন ,৫৪ নির্বাচন এমনকি পাকিস্তানের ভীত নড়ে দেওয়ার মতো নানা রকমের কার্যকলাপ করেছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণের পরে বাঙালি নির্দ্বিধায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল কার্যক্রম ছিল আওয়ামী লীগকে ভিত্তি করে। আওয়ামী লীগকে তিনি গণতান্ত্রিক একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করতে যেমন জনসাধারণের পথ নির্দেশক ছিল তেমনি প্রাপ্ত স্বাধীনতা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
সেমিনারের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সাবের আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিভিল সার্ভিস এবং জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয় গঠনের জন্য নানা পদক্ষেপ নেন। যাতে সামঞ্জস্য তৈরি হয়। সামঞ্জস্য তৈরি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সিভিল সার্ভিসকে গতিশীল করতে বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন তিনি। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, আজ ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণের সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী যা ইতিহাসের নানা বাঁক উঠে আসে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে নানা উত্থান পতনের মাধ্যমে আজ একটি স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ যেভাবে মাথা উঁচু করে আছে এর সম্পূর্ণ কৃতজ্ঞতা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগের উজ্জ্বল নেতা ছিলেন। মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন বলেই আওয়ামী লীগ একটি স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দল।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবে। এ প্রসঙ্গে তিনি কবি অন্নদাশঙ্কর রায় এর বিখ্যাত পংক্তিমালা আবৃত্তি করেন,
” যতকাল রবে পদ্মা যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা
রক্তগঙ্গা বহমান
তবু নাই ভয় হবে হবে জয়
জয় মুজিবর রহমান।”
সেমিনারের বিশেষ অতিথি শিক্ষক নেত্রী মিসেস সংগীতা বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন – “আমি দেশের মানুষকে ভালোবাসি।”
বঙ্গবন্ধু আরো বলেন – “আমার বড় দুর্বলতা ,আমি আমার দেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি”।
সেমিনারের গেস্ট অব অনার ড. সাইফুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে ১৯৪৮ সালের ৪ ঠা জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু তখন যুবক ছাত্রনেতা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিকল্প বঙ্গবন্ধুই। তিনি হলেন আমাদের কাছে একটি নন- পলিটিক্যাল এনটিটি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলা কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে কথা নয়। বঙ্গবন্ধু সবকিছুর উর্ধে। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি আমাদের জাতির পিতা। তিনি বাঙালির অহংকার।
সেমিনারে উপস্থিত
বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অতন্দ্র প্রহরী যিনি এই বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। তিনি স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তনের আগে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছিলেন- আমার দেশ থেকে সেনাবাহিনী কবে সরিয়ে নিবেন?
বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস নাঈমা ফেরদৌস বলেন, ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্থান এর পক্ষে বাঙালি জাতির একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ শেখ মুজিবের অধীনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল, ফলে দলটি পূর্ব পাকিস্তানে ভোটের একটি বিশাল শতাংশ পায় এবং আসন এবং ভোট উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের একচেটিয়া ম্যান্ডেট অর্জন করে, সমগ্র জাতির বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়।
সেমিনারে উপস্থিত মিসেস
পারভিন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ পালন করে আমরা নিজেদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবো।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন মানবিক মানুষ।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।