২৬ মে,২০২৪, রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯২৬ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিজ রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের প্রবর্তক আবদুস সাত্তার দুলাল।
সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিসেস সংগীতা বিশ্বাস।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক মো: মাসুদ আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন কুমার বিশ্বাস, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার সাদিয়া হালিমা ,শারমিন সুলতানা শিমু ও শাকিব হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড.কলিমউল্লাহ বলেন , বঙ্গবন্ধু সবাইকে নিয়ে চলতে পছন্দ করতেন। তাই তাকে অজাতশত্রু বলা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভাল শিক্ষক। জাতির পিতা তাঁর বক্তব্যে অধিকার জারি করতেন, যা তাঁকে অভিবাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
মানুষ শেখ মুজিবকে সন্মানের সাথে গ্রহণ করেছেন কারণ তিনি ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক লিডার।
তিনি আরও বলেন, ” বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করতেন অনিয়মের বিরুদ্ধে , বর্তমানে খবরের কাগজে যে অনিয়ম এর ঘটনা ফুটে উঠছে বঙ্গবন্ধু থাকলে তা হতে দিতেন না। সবাইকে সুনাগরিক হিসেবে দায়িত্ববান সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১% নাগরিক নিজের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে যার ভুক্তভোগী হচ্ছে পুরো দেশবাসী। ”
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি
প্রিন্সিপাল মাসুদ আহমেদ বলেন , বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষ ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কথা বলতেন। জাতির পিতার মতে বিশ্ব দুইভাবে বিভক্ত,এক শোষক অপরটি শোষিত। বঙ্গবন্ধু বলেন – যেখানে মানুষ শোষিত হবে, গনতন্ত্র হারা হবে, নির্যাতিত হবে , আমি তার পক্ষে। তিনি ফিলিস্তিনিদের পক্ষেও কথা বলেছিলেন।
শিক্ষক নেত্রী সংগীতা বিশ্বাস বলেন, নতুন প্রজন্মের সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আলোচনা করতে হবে প্রতিনিয়ত, তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সমৃদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন , বঙ্গবন্ধুর মানবদরদী আদর্শ আমারা প্রতিদিন জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করব।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শাকিব হোসেন বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ শিকারের ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী থেকে উদ্ধৃতি করেন। কারাগারে বসে শেখ মুজিব লিখলেন, “আজ ২৪ শে মে ১৯৬৭ সকালে সিভিল সার্জন সাহেব আমাকে দেখতে এসেছেন। কারণ আমার শরীর খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে পড়লে জেল খাটব কেমন করে? জেলের ভিতর সামান্য অসুখ হলেই মন খারাপ হয়, মনে হয় কত বড় ব্যরামই না হয়েছে! বিশেষ করে আপনজনের কথা মনে পড়ে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫৫ বছরের জীবনে বঙ্গবন্ধু ৪৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার সাদিয়া হালিমা বলেন, বঙ্গবন্ধু শাশ্বত গ্রামীণ সমাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ছেলেবেলা থেকে গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।