২৬ ই জুন, ২০২৪, বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫৬ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শিক্ষক নেত্রী মিসেস সংগীত বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা নাঈমা পারভীন।
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস পারভীন আক্তার
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শাকিব হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা সবসময় মানুষের মঙ্গল চিন্তা করতেন।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারা জীবন দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেরই নেতৃত্ব দেন নি, তিনি বাঙালি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এ প্রসংগে তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে প্রথম কারাবরণ করেন ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময়। এরই ধারাবাহিকতায় আসে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ৭ ই মার্চ এর ভাষণ আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
সেমিনারের প্রধান অতিথি শিক্ষক নেত্রী মিসেস সংগীতা বিশ্বাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন। জাতির পিতা বলেছেন, ” প্রধানমন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছে আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন, তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো।”
সেমিনারের বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিস নাঈমা ফেরদৌস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ১৯৬৬ সালের মার্চ মাসে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মিটিংয়ে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন আর সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দিন আহমদ। আর যারা ছয় দফার বিরোধিতা করে তাদের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই নেতৃত্বের হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, যা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উনার রচিত গ্রন্থে উল্লেখ করেন।
সেমিনারে যুক্ত বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম অনুধ্যান। কারণ আমাদের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির একেবারে মর্মমূলে রয়েছে গণন্ত্রের আদর্শ। বাঙালির গণতান্ত্রিক চেতনাকে যখন রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল তথাকথিত পাকিস্তান, তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী দলকে একাত্তরে ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হয়নি বলে গণযুদ্ধ হয়েছিল। এটা তাত্ক্ষণিক, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। অবশ্য গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বাংলাদেশের মানুষকে বঞ্চিত করার ঘটনা অনেক দিনের। সেই ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষকে, নানান প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ও আপসহীন নেতৃত্বে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছিষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের ১১ দফা ও গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি।
সেমিনারে উপস্থিত মিসেস
পারভিন আক্তার বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা ছিলেন গরীবের বন্ধু আর একজন উদার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শাকিব হোসেন বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন বৃক্ষ প্রেমিক মানুষ। ২৬ জুন ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেখানেই সম্ভব সেখানেই বৃক্ষরোপনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।