চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই আগামী বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের। তবে এই সাক্ষাতের আগে মস্কো সফরে যাবেন গুতেরেস। আর তার এই মস্কো সফর নিয়েই চটেছেন জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) ভুল করছেন যে প্রথমে রাশিয়া সফর করে এরপর ইউক্রেন আসবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে, মস্কোর রাস্তায় তো কোনো মরদেহ নেই। প্রথমে ইউক্রেনে যাওয়া যৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের এমনটা করার ভেতর কোনও ন্যায়বিচার এবং কোনও যুক্তি নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও গুতেরেসের সফর নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে, আসছে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অ্যান্থনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এদিকে, জেলেনস্কি আবারও যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরের আগে অ্যান্থনিও গুতেরেস সোমবার (২৫ এপ্রিল) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা সফর করবেন।
মহাসচিবের এই সফর নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আঙ্কারায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভ্যর্থনা জানাবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। তুরস্কই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করে আসছে। এর আগে আঙ্কায় বৈঠকও করেছেন দুদেশের প্রতিনিধিরা।
গত ২৬ মার্চ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে অল্প সময়ের জন্য কথা বলেছেন অ্যান্থনিও গুতেরেস। এদিকে, ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে রাশিয়া জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগের পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন গুতেরেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকেই সরব ভূমিকা পালন করছে জাতিসংঘ। যুদ্ধ থামাতে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অ্যান্থনিও গুতেরেস চলতি সপ্তাহে একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন।