#জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাপান আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম ও একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বলতে চাই, জাপান আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম ও একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৩ সালে প্রথম টোকিও সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ভিত রচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
উন্নত দেশ গড়ার প্রচেষ্টায় জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে প্রত্যাশা করে সরকারপ্রধান বলেন, আমি আশা করি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে জাপান ও জাইকা আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমি বাংলাদেশ ও জাইকার মধ্যে সহযোগিতার ৫০ বছর উদযাপনের সব অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের কথা আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। ওই সময় আমরা আামাদের দ্বিপাক্ষীয় সহযোগিতাকে জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা ‘জাপান-বাংলাদেশ সমন্বিত অংশীদারত্ব’ চালু করেছি। আমাদের এ অংশীদারত্ব এখন অদূর ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।
দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও জাপান চমৎকার সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধে জাপান ও দেশটির জনগণের সমর্থন এবং অবদানের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি। বাংলাদেশ ও জাপান সেই মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য অনুদান সহায়তা দিয়ে শুরু হয়ে বাংলাদেশে জাইকার আর্থিক সহায়তার পোর্টফোলিও এখন ২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু, ঢাকা শহরে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প জাইকার সহায়তায় বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন।
জাপানের সম্রাট ও জাপানের সম্রাজ্ঞী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং দেশটির বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে গভীরতম শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।