জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
উইকেন্ড কোর্সের শিক্ষার্থীদের কে সমাবর্তনে অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ চলাকালে,’উইকেন্ড দিয়ে ব্যাবসা বন্ধ কর’, ‘শিক্ষা ব্যাবসা চলবে না’, ‘সমাবর্তনে উইকেন্ড না’, ‘অবৈধ উইকেন্ড বন্ধ কর’, ‘সমাবর্তনে উইকেন্ড শিক্ষার নামে সন্ত্রাস’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিরোধ জানায়।
ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফার রহমান নবীনের সঞ্চালনায় ছাত্রফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, উইকেন্ড কোর্সধারীদের আমরা এখনো বৈধ শিক্ষার্থী বলে মনে করি না। একটা স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে অর্থের বিনিময়ে এখানে কোন কোর্সকে আমরা বৈধ বলে মনে করি না। তাদের সমাবর্তনে অন্তভুক্ত করার অর্থ হলো অবৈধ এই শিক্ষাব্যবসাকে বৈধ করে নেয়া। তারা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সমাবর্তন পেলে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিকে অবমূল্যায়ন করা হবে। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই উইকেন্ড কোর্সকে সমাবর্তন দেয়া হয় না।
সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ প্রীতম বলেন, উইকেন্ড কোর্সকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইতোমধ্যে অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু সমাবর্তনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে অবৈধ শিক্ষাব্যবস্থাকে বৈধতা দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। যেখানে এই ব্যবস্থাই প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে তারা একই প্ল্যাটফর্ম থেকে কিভাবে সমাবর্তন পাবে? আমরা শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ চাই না।
সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, আজকে একটি ধর্মীয় উৎসবে আমাকেরকে এই সমস্ত কিছু রেখে এখানে এসে মানববন্ধন করতে হচ্ছে। অথচ প্রশাসন আমাদের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে না ভেবে উইকেন্ড শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবৈধ উইকেন্ড কোর্সের শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন দেয়ার মাধ্যমে প্রশাসন এই কাজকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মেনেবনিতে পারি না।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন দিবে প্রশাসন। এদের মধ্যে উইকেন্ড কোর্সের শিক্ষার্থীও রয়েছে।