চট্টগ্রামের চাঁদগাঁওয়ের খতিববাড়ী মাহবুব কলোনিতে প্রবাসী মোহাম্মদ হানিফের জায়গা জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসীর স্ত্রী কামরুন নাহার।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুন নাহার জানান, এক ভূমিদস্যু ও তার গংরা চাঁদগাঁও ১৪ নং গ্যারেজ, খতিববাড়ী মুখে রাতের অন্ধকারে আমার স্বামীর জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে হামলা, ভাংচুর, কেয়ার টেকারকে অপহরণ করে। তাদের শাস্তি দাবি করে আমি আমার স্বামীর প্রতিনিধি হয়ে আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চাঁদগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রথমে বায়না পরবর্তীতে রেজিস্ট্রিমূলে আমার স্বামী আবু হানিফ ও আমার দেবর মোহাম্মদ বাবর জমির প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ শোয়াইবের কাছ থেকে জমির মালিকানাস্বত্ব বুঝে নেয়। গত ৬ বছর যাবত আমরা আমাদেন কেনা সম্পত্তিতে ভোগ দখল করে আসছি। গত ২ সেপ্টেম্বর ভূমিদস্যু মোহাম্মদ জমিরউদ্দীন ও আবুল কাসেম গংদের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের সন্ত্রাসী দল আমাদের চাঁদগাঁও থানার ১৪ নং গ্যারাজ সংলগ্ন খতিববাড়ী মুখ মাহবুব কলোনীর স্থাপনায় হামলা চালায়। এসময় আমাদের ভাড়াটিয়াদের মারধর ও স্থাপনায় থাকা ঘরে ভাংচুর চালায়।
‘সন্ত্রাসীরা আমার বিদ্যুৎ লাইন, মিটার, সিসি ক্যামেরা, সেমি-পাকা ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এক পর্যায়ে আমাদের কেয়ারটেকার নাসিমাকে তারা একটি হাইস গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় হত্যার উদ্দেশ্য। এ সময কেয়ারটেকারকে জমির ও কাসেম গংদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মারধর করে। নাসিমাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা বুঝতে পেরে অপহরণকারীদের হাতে পায়ে ধরে প্রাণভিক্ষা চাইলে তাকে কুয়াইশ অক্সিজেন রোডে নির্জন স্থানে ফেলে যায়। আহত অবস্থায় তাকে টহল পুলিশ উদ্ধার করে। আমাদের এই জমির ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার সত্বেও তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে।’
কামরুন নাহার আরও বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারে আমার বড় ভাই (ভাসুর) প্রথমে চাঁদগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরে জমির উদ্দিন আবুল কাশেম গংদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। পরবর্তীতে পুলিশ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তবে প্রধান আসামি ভূমিদস্যু জমির ও কাসেম পলাতক থাকায় আমরা ভীতিকর সময় অতিবাহিত করছি। আমি মুল আসামি জমির ও তার গংদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করছি।
এ অবস্থায় কামরুন নাহার ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জানিয়ে অবিলম্বে প্রধান আসামি জমির উদ্দিন ও কাশেমকে গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।