জার্মানির রাজধানী বার্লিনের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদযাপন করা হয়। ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’- এই প্রতিপাদ্যে উদযাপিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসি বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের শুরুতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি-এর নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, এবং যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অপরাহ্নে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও প্রবাসি বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, তার সংগ্রামমুখর জীবন, কর্ম, আদর্শ এবং একটি স্বাধীন দেশ গঠনে তার ভূমিকার ওপর আলোচনা ও তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি, মান্যবর রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরও বলেন যে, জাতির পিতা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দিবে। শিশুরা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সকল চেষ্ঠা করে গেছেন। জাতীয় শিশু দিবসের গুরুত্ব ও শিশুদের জন্য বর্তমান সরকারের মাইলফলক অর্জনসমূহ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তার কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি শিশুদের সুনাগরিক এবং দেশপ্রেমিক হয়ে বেড়ে উঠতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই নিশ্চিত করছেন। তাই শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করে সকলে মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ, স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য, শহিদ জাতীয় চার নেতা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সবশেষে উপস্থিত সকলের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।