মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রম সংকট নিরসনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের মাধ্যমে (ইউএস সিবিপি) একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে জোরপূর্বক শ্রমের সমস্যা মোকাবিলায় মালয় সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
গত ১৩ মে বিবৃতির মাধ্যমে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেছেন, কমিটি তথ্য আদান-প্রদানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে, যার মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে, যা জোরপূর্বক শ্রম রোধে দেশের উদ্যোগকে সমর্থন করতে পারে, সে বিষয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর বৈঠক করবে।
এম সারাভানান আরও বলেছিলেন, ইউএস সিবিপি চলতি মাসের শেষের দিকে মালয়েশিয়ায় একটি কর্ম সফর করবে এবং দেশের শিল্পমালিকদের সাথে একটি কর্মশালা করবে। ওয়ার্কশপটি জোরপূর্বক শ্রমের উপাদানগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করবে, যা শিল্পমালিকদের এড়ানো উচিৎ, যাতে তাদের পণ্যগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা না হয়।
সারাভানান মনে করেন, কর্মক্ষম সফর জোরপূর্বক শ্রম রোধে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সুযোগ উন্মুক্ত করেছে এবং সেই সাথে জোরপূর্বক শ্রম ও শিশুশ্রম সমস্যা মোকাবিলায় মালয়েশিয়ার মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হয়েছে।
তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়া সরকারের প্রচেষ্টার গভীরভাবে প্রশংসা করে এবং জোরপূর্বক শ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।
সারাভানান বলেছেন, আমি ইউএস সিবিপি এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যানমারি হাইস্মিথ এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার (ইউএস ডিওএল) আন্তর্জাতিক বিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লির সাথেও বৈঠক করেছি।
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) তালিকাভুক্ত সমস্ত বাধ্যতামূলক শ্রমসূচক যেমন পরিচয়পত্র সংরক্ষণ, অত্যধিক ওভারটাইম এবং মজুরি আটকে রাখা, এসব বিষয়ে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ইউএস ডিওএলের সঙ্গে সহযোগিতার প্রসঙ্গে সারাভানান বলছিলেন, প্রযুক্তি স্থানান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষানবীশ প্রোগ্রামগুলোতে তারা দক্ষতা ভাগাভাগি করে নিতে সম্মত হয়েছে।