জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নেতারা।
শনিবার বিএফইউজে ও ডিইউজের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম ৫১ শতাংশ বাড়ানোর ফলে সাংবাদিক সমাজ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়বে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ৯৯ শতাংশ সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে মোটরসাইকেল বা গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এই খাতে ৫০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকে দুরূহ ও ব্যয়বহুল করে তুলবে। এই বাড়তি ব্যয় নির্বাহ করার ক্ষমতা সংবাদকর্মীদের নেই। সংবাদপত্র ও এর কাঁচামাল পরিবহনেও এর প্রভাব অবশ্যম্ভাবী।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। জীবনযাত্রার ব্যয়ে সাধারণ মানুষের মতো সাংবাদিক সমাজও দিশাহারা। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে মন্দা, অস্থিরতা ও একধরনের নৈরাজ্য চলছে। সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত কর্মচ্যুত হচ্ছেন। বেতন-ভাতা অনিয়মিত হয়। সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোও লাগামহীন ব্যয় বৃদ্ধিতে টিকে থাকার সংগ্রাম করছে। এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বড় ধরনের সংকটে ফেলবে।
বিবৃতিতে বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন। এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববাজারে তেলের দাম যখন নিম্নমুখী, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পেট্রল ও অকটেন আমদানি করতে হয় না, তখন এক সপ্তাহের মধ্যে এমন হঠকারী পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ভুক্তভোগী জনসাধারণের সঙ্গে সাংবাদিক সমাজও এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।