Thursday , 25 April 2024
শিরোনাম

জ্বালানি তেলের তাপে হুহুকরে বাড়েছে সকল পন্যের দাম

আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী):-

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরপরই বাজারে সকল নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। ধান,চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা ,সবজি, ডিম , মুরগির,সারসহ সকল পন্যের দাম পাল্লাদিয়ে বেড়েই চলছে। এছাড়া গৃহস্থালির টুকিটাকি পণ্য , দেশি বিদেশি সব ধরণের পন্য, এমনকি চিকিৎসা সামগ্রী ও বাদ পড়েনি । এক কথায় জ্বালানি তেলের তাপ সর্বক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করেছে করেছে। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন , ডিজেলের দামবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে তিন-চার দিনের মধ্যে প্রতি ৫০ কেজি চালের বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দাম বেড়েছে। ৫০ কেজির জিরাশাইল বস্তা প্রতি ৩ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫৫০ টাকায়। দেশি বেতি আতপ ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন দিনের ব্যবধানে বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

এছাড়া খুচরায় প্রতি কেজি জিরাশাইল ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৭ টাকায়। দেশি বেতি ৫৭ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়, মিনিকেট ৬০ টাকা থেকে ৬৪ টাকায় ও মোটা জাতের নুরজাহার ব্র্যান্ডের ৫০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। এছাড়া চিনি ৭৪ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৩ থেকে ৮৪ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে চিনিতে দাম বেড়েছে ৯ থেকে ১০ টাকা। প্রতিকেজি আটা কোম্পানি ভেদে ৫৩ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকায়, ময়দা ৬৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা এবং ময়দা কেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা। কাঁচাবাজারের আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে গৃহিনীরা, ১৫ টাকা বেড়ে কাকরোল ৫৫ টাকা, ঢেড়শ ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, পটল ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, মরিচ ৪০ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকা, কচুর লতি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, শসা, চিচিঙ্গা, লাউ, ঝিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, বরবটি ও তিতকরলা ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ পাঁচদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৬০ টাকা ও টমেটোতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। ডিম ডজনপ্রতি ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। ডিমের প্রতিডজনে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের দাম বোতলের গায়ে লেখা আছে ৯১০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৯৯৭ টাকায়। ৮৭ টাকা বেড়ে গেছে। মুরগির ক্ষেত্রেও একই। বাজারের এমন অবস্থায় অসহায় সাধারণ জনগণ। অনেকে বলছেন, নুন আনতে পানতা ফুরিয়ে যাওয়ার সময় ,মনে হয় আর বেশি দিন নেই। দেশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম যতটা বাড়ার কথা, তার চেয়ে অনেক বেশি বেড়ছে। আর এই সুযোগ নিচ্ছে মুনাফা লোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা। সবজি দোকানদার থেকে শুরু করে সবাই। চাল আমদানির সুযোগ দেয়ার পরও চালের বাজারে সংকট তৈরি করা হয়েছে চাল মজুদ করে। ভোজ্য তেলেও একই অবস্থা। বাজার মনিটরিং বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না।

Check Also

তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন দেশের এক কোটি ১৯ লাখ মানুষ

তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হতে পারে দেশের এক কোটি ১৯ লাখ মানুষ (গবেষণার আওতায় আসা ব্যক্তিদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x