আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ প্রতি মাসে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির ব্যক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত অনুযায়ী এটা নিয়ে সরকার কাজ করছে। প্রথমে পেট্রোল ও অকটেন, পরবর্তীতে বাকি জ্বালানির দাম সমন্বয় হবে। এটার জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করছে মন্ত্রণালয়। দ্রুতই তা শেষ করা হবে। এছাড়া ইলেকট্রনিক যানবাহনের উদ্ভাবন এবং ব্যবহারে দেশে জ্বালানি সাশ্রয় হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সমন্বয়ের ফলে মাসে মাসে দাম কমবে, আবার কখনো বাড়বে। বর্তমানে বিইআরসি জ্বালানির দাম ঠিক করে। কিন্তু বিশ্ববাজারের উঠানামায় দাম নির্ধারণ করতে কয়েক মাস দেরি হয়ে যায়। উন্নত বিশ্বে এটা অনেক আগেই চালু করা হয়েছে। অনেক দেশে প্রতিদিন জ্বালানির দাম উঠানামা করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবালাইজেশনের জন্য যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তাই দেশকে বাঁচাতে উদ্ভাবনী আবিষ্কারের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠস্বর আরও শক্ত করতে হবে।
নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে তরুণদের আরও উদ্ভাবনী চিন্তা প্রয়োজন বলেও মনে করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী না হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের ওপর চাপ রয়েছে। যারা নিষেধ করছেন, তারাই কার্বন নিঃসরণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
কপ সম্মেলনে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার স্মার্ট অংশগ্রহণ পেলে বাংলাদেশ শিগগিরই তার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, এদিন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্মার্ট পাওয়ার এবং এনার্জি চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ প্রতিপাদ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সমাজ ও দেশ বদলে যেসব তরুণ-তরুণী অবদান রাখেন তাদের উদ্ভাবনী আবিষ্কারকে আরও অনুপ্রাণিত করতেই এ আয়োজন করা হয়। এখানে প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে মোট ৭টি ক্যাটাগরিতে ৭ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়।