ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জুলুলী গ্রামের করিমপুর মোড় থেকে আনুমানিক ৮ কোটি টাকা মূল্যের ৯৯টি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করেছে বিজিবি।
শুক্রবার সকালে একটি মোটরসাইকেল যোগে বিজিবির তল্লাশি চৌকি পার হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে অভিনব কায়দায় রাখা ৯৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম খলিল। পেশায় দর্জি শ্রমিক ইব্রাহীম মহেশপুর উপজেলার জাগুসা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক শাহীন আজাদ শুক্রবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মহেশপুর সীমান্তের মাটিলা বিওপির টহল দল জুলুলী গ্রামের বটতলা এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় ইব্রাহিম খলিল নামে ওই যুবকের গতিরোধ করে। এ সময় তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তাকে আটক করে প্লাস্টিকের ব্যাগ তল্লাশি করে টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১২ কেজি ৫৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মুল্য ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইব্রাহীম খলিল জানান, এই সোনার বার তার দুলাভাই মহেশপুরের লেবুতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার বাসায় পৌঁছে দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ইব্রাহীম খলিল মোস্তফার ছোট স্ত্রীর ভাই। শুক্রবার সকালে মহেশপুরের ভাড়া বাসা থেকে সোনার বারগুলো লেবুতলা গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইব্রাহীমের কাছে দেয়।
জাগুসা গ্রামের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লেবুতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফা একজন চিহ্নিত চোরাকারবারি। দীর্ঘদিন ধরেই সোনা, অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য ভারত ও বাংলাদেশে পাচার করে থাকে। শুক্রবার এই সোনা তার শ্যালক দর্জির দোকানদার ইব্রাহীম খলিলকে দিয়ে মহেশপুর শহর থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে লেবুতলা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিল।
বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি মামলার পক্রিয়া চলছে। সোনার আসল মালিককে আটকের চেষ্টা চলছে।