ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে হাফিজুর রহমান (৪০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিখোঁজের চারদিন পর গত রোববার (৯ অক্টোবর) বিকেলে মাটিতে পুঁতে রাখা পলিথিনে মোড়ানো অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের ২ দিনের মধ্যে এই হত্যার রহস্য উধঘাটন করা হলো।
মঙ্গলবার দুপুরে হরিণাকুণ্ডু থানায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) অমিত বর্মণ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রিশখালী গ্রামের হাফিজুর রহমান গত বুধবার (৫ অক্টোবর) নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর তার ছোট ভাই জাফিরুল ইসলাম শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন শনিবার (৮ অক্টোবর) মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কেষ্টপুর গ্রামের চরের মাঠের খালের ধার থেকে হাফিজুর রহমানের পলিথিনে মোড়ানো গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর রোববার সন্ধ্যায় জাহিদ নামের আরেকজনকে পুলিশ আটক করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, আটককৃতরা প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নিখোঁজের দিন (৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হাফিজকে হত্যা করা হয়। অটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার হত্যায় ব্যবহৃত দা, কোদাল, জিআই তার, পলিথিন, ঘটনাস্থলের রক্তমাখা মাটি ও ভিকটিমের মোবাইলফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই জাফিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু থানায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আটককৃত দুইজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।