২৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণভাবেই এগোচ্ছিল আয়ারল্যান্ড। পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবার্নির ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২১ ওভারেই দলীয় একশ রান তুলে নেয় আইরিশরা। ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের ২৭তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন স্টার্লিং। অন্যপ্রান্তে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। মৃত্যুঞ্জরের ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি। এরপর বোলিংয়ে এসে উড়তে থাকা আইরিশ অধিনায়কের উইকেট তুলে নেন এবাদত।
এবাদতের করা বলে পুল শটটিতে দারুণ টাইমিং হয়েছিল। কিন্তু ডিপ মিড-উইকেটে সরাসরি রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনে নামা এই ব্যাটার। এর মধ্য দিয়ে ভাঙে ১০৯ রানের জুটি। ৭৮ বলে ৫৩ রানে ফিরেন তিনি।
বালবার্নি আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন স্টার্লিং। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন চারে নামা হ্যারি টেক্টর। তবে ইনিংসের ৩২তম ওভারে মিরাজের করা অফ-স্টাম্পে বাড়তি বাউন্সের বল টেনে খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে অঞ্চলে মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে ধরা পড়েন স্টার্লিং। ৭৩ বলে ৬০ রানে থামেন এই ওপেনার।
এরপরই ক্রিজে থিতু হতে থাকেন টেক্টর। এবার তাকে ফেরাতে নতুন ফন্দি আটলেন টাইগার কাপ্তান। বোলিংয়ে টাইগারদের টপ-অর্ডার ব্যাটার শান্ত। এসেই ভেলকি দেখালেন তিনি। দলীয় ৪২তম ওভারে শান্তর বলে শর্ট লেংথের বলে পুল করেছিলেন টেক্টর। আর তার সেই পুল ওয়াইড লং অন থেকে ছুটে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন লিটন। আর এতে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের দেখা পান শান্ত। টাকারের সঙ্গে জুটি ভেঙে ৭৯ রানে ফিরেন এ টপ-অর্ডার ব্যাটার।
এরপর কার্টিস ক্যাম্ফার ও জর্জ ডকরেলের উইকেট তুলে নেন টাইগার সেরা অস্ত্র মোস্তাফিজুর। এর ফলে ১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় আইরিশরা।
সিরিজের সমতায় আনার জন্য শেষ ১২ বলে আইরিশদের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ক্রিজে ছিলেন দুই লোয়ার-অর্ডার ব্যাটার এডেয়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন।
দলীয় ৪৯তম ওভারে অভিষিক্ত পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হাতে বল তুলে দেন টাইগার কাপ্তান তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত অষ্টম ওভারে প্রথম দুই বল এক রান দেন এ পেসার। এর পরের বলেই লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকান এডেয়ার। পরের দুই বলে ২ রান ও বাউন্ডারি হাঁকান এ ব্যাটার। শেষ বলে এক রানে শেষ হয় এই অভিষিক্ত পেসারের ওভার।
শেষ ওভারের দায়িত্বে হাসান মাহমুদ। এসেই চমক দেখালেন এই পেসার। এসেই ব্রেক-থ্রু এনে দেন হাসান। ১০ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ফিরেন এ ব্যাটার। পরের বলে আসে এক রান। এর পরে বলে আবারও আস্থার প্রতিদান দিলেন হাসান। ফিরালেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে। শেষ তিন বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান। আর শেষ বলে প্রয়োজন ৬ রান।