টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ এর হত্যাকারী খুনি রানা, মুক্তি, কাঁকন,বাপ্পা চিহ্নিত সকল হত্যাকারীদের জামিন বাতিল ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ।
উপস্থিতি,ছিলেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির, টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এস এম স্বাক্ষর চৌধুরী,ভূঞাপুর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু,যুবলীগের নেতা ও ডিস ক্যাবল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম কবির,জেলা যুবলীগ নেতা, ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মনির সিকদার,শহর যুবলীগের সদস্য সেলিম সিকদার,টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সুহান,সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান,জেলা ছাত্রলীগে সাবেক সদস্য সৈকত চন্দ্র, হোসেন ছাদাব অন্তু, সাজিদ খান ও অন্যান্য প্রমুখ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার বিকেল।
বিস্তারিত, শুরুটা হয়েছে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মাসে টাঙ্গাইলের কুখ্যাত খান পরিবারের নির্দেশে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে হত্যা করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রাণপুরুষ
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, যিনি ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ কারী শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ কে, এর হত্যাকারী খুনি আমানুর রহমান খান রানা,শহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন,সানিয়াত খান বাপ্পা,চিহ্নিত সকল হত্যাকারীদের আইনের দ্বারায় এখন পর্যন্ত হত্যার সাথে জড়িত খুনি খান পরিবারের সন্তান ঘাটাইল সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি রানা হাজী ৪ বছর জেল খেটে জামিনে আছে আরেক জন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি ২ বছর জেল খেটে জামিনে বের হয়েছে, এতে করে টাঙ্গাইলের চিহ্নিত খুনি খান পরিবারের অতিরঞ্জিত কিছু নেতাকর্মী ও প্রেতাত্মারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাস করছেন এবং বলাবলি করছে এবার খেলা হবে খান পরিবার ভার্সেস ছোট মনি,মিরন পরিবার, নেতাকর্মীরা বলাবলি করছে দুই পক্ষেরই ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে, কারনটা হল একপক্ষ দীর্ঘ দিন জেল খেটে বের হয়েছে এবং আরেক পক্ষের ছোট মনির এমপি, সাবেক মন্ত্রীর মেয়েকে বিয়ে করেছে, টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে উত্তাল পরিবেশ শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তি বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে,টাঙ্গাইল জেলগেট থেকে তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিছু সংখ্যক ভাই লিগ করা নেতাকর্মী মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে কলেজপাড়া বেবীস্ট্যান্ড পতিতালয়ের পাশে থাকা নিজ বাসা পর্যন্ত নিয়ে যায়, যাওয়ার সময় শহরে হইহুল্লার আওয়াজ শোনা যায়, কেউ কেউ মিষ্টি বিতরণ করেছে, কেও কেউ কেউ ফেসবুকে মুক্তির ছবি দিয়ে পোস্ট করে লিখেছে আলহামদুলিল্লাহ কেউ লিখেছে বিজয় হয়েছে, এদিকে বিপক্ষে টাঙ্গাইলের পরিবেশ শান্তিপ্রিয় রাখতে,জামিন বাতিল ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ১৩ ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ।
এই বিষয় নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি বাসায় ফেরার পর তার পিতা ঘাটাইল আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান এমপির কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা কথা বলার চেষ্টা করলে মামলার বিষয়ে কিছুই জানায়নি, পরবর্তীতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা বলে মুক্তির শরীরের অবস্থা এখন ভালো না দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা অবস্থা কারাবন্দি ছিলেন তাই এখন মিডিয়ায় কথা বলবে না মুক্তি পরে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদকর্মীদের জানাবো।
বক্তব্য,মিছিল শেষ করে নিরালা মোড় শহীদ মিনারে জমায়েত হয়ে,ঔ সময় বক্তব্য তে বড় মনি বলেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন এবং বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদ কারী ছিলেন, যে প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজপথে,দুর্বৃত্তদের হাতে পিস্তলের গুলি পায়ে লেগেছিলো যে মানুষটি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগকে বুকে আগলে ধরে রেখেছিলেন প্রতিনিয়ত,টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়মিত তাকে দেখা যেতো, তার মতো নেতা আমরা আর ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগে পাব কিনা সন্দেহ আছে, আমরা হারিয়েছি একজন ত্যাগী নেতা তাই আমাদের বুকে কষ্ট লাগে,আজকে এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বলতে চাই,এই চিহ্নিত খান পরিবাররা হত্যা করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান কে,তাই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের টাঙ্গাইল থেকে বিতাড়িত করতে হবে, এইখান পরিবার টাঙ্গাইল বাসীকে জিম্মি করে রেখেছিলেন আমরা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক, মুক্ত রেখেছি, আমি এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী খান পরিবারের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করছি, এবং ছাত্রলীগকে বলছি মাঠে থাকতে হবে সকলকে সতর্ক হয়ে পথ চলতে হবে যেকোনো সময়, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে প্রস্তুত থাকতে হবে অন্যায়কারীর সাথে কোনো আপোষ নেই,অন্যায়কারীরা যত বড়ই হোক আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।
পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন বলেন জামিন বাতিলের জন্য আল্টিমেটাম ৭ দিনের দেয়া হলো আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রেখে বলেন প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে এই পরিবার যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে টাঙ্গাইল সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে, টাঙ্গাইল পার্কের বাজারে ডিমের মধ্যে আবারও ভ্যাট বসাবে এই গরিব মেহনতী শ্রমিক মানুষের রক্তচোষা খান পরিবার,আওয়ামী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন সকলকে একসাথে পথ চলতে হবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে তাহলে এই সমস্ত খান পরিবারের সন্ত্রাসীরা আমাদের কিছুই করতে পারবেনা অতীতেও সকল সহযোগী সংগঠন মিলে একসাথে ছিলাম ভবিষ্যতেও সকলে একসাথে থাকবো। অন্যায় কারি দের সাথে কোন রকম আপষ হবে না।
ছাত্রলীগ নেতা স্বাক্ষর চৌধুরী বলেন ওস্তাদ ফারুক আহমেদের হত্যার আসামিদের শাস্তি হওয়া না পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চলছে চলবে ২০১৪ সাল থেকে যেভাবে রাজপথে কুখ্যাত চিহ্নিত সন্ত্রাসী খান পরিবারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি প্রয়োজনে আবার আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করবো, টাঙ্গাইলের মানুষ এতদিন যেভাবে শান্তিতে ছিলো ইনশাল্লাহ শান্তিতে থাকবে আমরা পাশে ছিলাম এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি সুহান বলেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী রানা, মুক্তির জামিন বাতিল করে পুনরায় জেলহাজতে পাঠানো হোক, না হলে এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা টাঙ্গাইলকে অচল করে দিবে কেরে নিবে মানুষের রাতের ঘুম অনেক মায়ের কোল খালি করবে ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল পৌর সাবেক মেয়র মুক্তি জামিনে বের হয়ে আসায় তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে এবং টাঙ্গাইল কে পুনরায় অস্বস্তি শীল পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে দিনরাত। তাই সাংবাদিক,সোশ্যাল মিডিয়া,গনমাধ্যমে টাঙ্গাইলের যারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং মহামান্য আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রেখে আকুতি করছি অবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিল করা হোক, যাতে করে টাঙ্গাইলের মানুষরা শান্তিতে ঘুমোতে পারে রাস্তায় বের হতে পারে বাবা-মায়ের সন্তানেরা স্কুল কলেজে যেতে পারে,এই সন্ত্রাসীরা বাইরে ঘোরাঘুরি করলে টাঙ্গাইল শহরে চুরি ছিনতাই, মাদক,ইভটিজিং সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হবে সহযোগী প্রেতাত্মারা। এ সময় আরো বলেন খান পরিবারের প্রেতাত্মাদের উদ্দেশ্যে আপনারা যদি কোনরকম অপরাধমূলক কাজে জড়িত হোন আবারো টাঙ্গাইলে অশান্তির সৃষ্টি করেন আমরা ছাত্রলীগ চুপ করে থাকব না এবং টাঙ্গাইলের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চুপ করে থাকবে না এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে অপরাধী যত বড়ই হোক আইন চুপ করে বসে থাকবে না সে আস্থা এবং বিশ্বাস আমাদের আছে তাই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের প্রতিটা নেতাকর্মীরা যেভাবে অতীতেও আন্দোলন-সংগ্রামের সক্রিয় ছিলো আমরাও সেভাবেই যেন রাজপথে থাকতে পারি সকলেই এক হয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে যেতে হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ,টাঙ্গাইল ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এই প্রত্যাশা করছি। ফারুক আহমেদ হত্যার খুনিদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ।