সফিকুল ইসলাম রানা।
টানা ১৩ বছর পর বৃত্তি পরীক্ষায় বসেছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ হাজার ১শ’ ৩৪জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ১৯ শিক্ষার্র্থী।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত ছেংগারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওটারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র উপজেলা ১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪০টি কিন্ডার গার্টেন ও ১টি ব্র্যাক স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের এতথ্য জানান। তিনি বলেন, উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা হয়েছে ১০০ নম্বরের। চারটি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে প্রশ্ন থাকবে। বহু-নির্বাচনি এবং লিখিত দুই ধরনের প্রশ্নই থাকবে। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই ঘণ্টা। ৪০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে লিখিত। আর ৬০ শতাংশ প্রশ্ন হবে এমসিকিউ পদ্ধতির। ২০০৯ সাল থেকে জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার
গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবৃত্তি দেওয়ার বিকল্প মেধা যাচাই পদ্ধতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় বর্তমান প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতেই প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।