আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে অংশ নিতে দুবাই যাওয়ার আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সন্মেলনে কথা বলেন নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জোতি। আজই দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠেছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য বাছাই পর্বের ম্যাচ শুরু হবে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। আবু ধাবিতে বাছাই পর্বে বাংলাদেশ খেলবে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্টের বিপক্ষে। বাছাই পর্বের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৩ সেপ্টেম্বর এবং ফাইনাল ২৫ সেপ্টেম্বর। দুই ফাইনালিস্টই খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।আরব আমিরাত যাওয়ার প্রাক্কালে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত বলবো যে আইসিসি টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফায়ার, প্রথম উদ্দেশ্য থাকবে কোয়ালিফাই করা। প্লাস আয়ারল্যান্ড ভাল দল আমাদের বিপক্ষে। কিন্তু তাদের যদি পরিসংখ্যান দেখেন, তাহলে দেখবেন আমাদের বিপক্ষে আইরিশ নারী দলের জয় খুব কম। সে জায়গা থেকে আমরা ফেবারিট।’
‘আমি বলবো টিম অনুযায়ী আমাদের দলটি অনেকদিন খেলছি. একসঙ্গে। আমরা একে অপরকে জানি। আমি মনে করি, আমাদের যে পটেনশিয়াল আছে, আমরা যদি ধারাবাহিকতা রাখতে পারি, ব্যাটাররা যদি ভাল করতে পারে, টিম হিসেবে পারফরম করতে পারি, তাহলে ফেবারিট হয়েই থাকবো।’
নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে বলতে গিয়ে অধিনায়ক জোতি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা এনসিএল আর প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। সেখানে দেখবেন যারা ব্যাটার ছিল, স্কোয়াডে আছে- তারা প্রায় সবাই ভাল খেলেছে। শেষ এনসিএলে আমরা ৬-৭ নম্বর পজিসনে হার্ড হিটার পেয়েছি। বিশেষ করে সুবহানা রিতু মনি আছেন। জাহানারা আপাও শেষের দিকে গিয়ে খুব ভাল হিট করতে পারে।’‘প্লাস যদি মারুফাকে পাই সেটাও কাজে দেবে। মোটকথা, যে ঘাটতিটা ছিল তা এখন কিছুটা মিটেছে। এখন কয়েকজন বিগ হিট নিচ্ছে। ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর অপশনও আছে আমাদের। আমার মনে হয় না, ওইসব পজিসনে আর আগের মত সমস্যা হবে। এখন পর্যন্ত ব্যাটাররা ভাল শেপে আছে। ঢাকায় ফিটনেস ব্যাসিস ক্যাম্প করেছি। পাশাপাশি অনেকেই ইনডোর ও আউটডোরে ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুশীলন করেছে। আমরা পাওয়ার হিটিংটা করতে পারি।’