মালিকানা গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন টুইটারের নতুন মালিক এলন মাস্ক । তবে এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নেননি টুইটারের কর্মী থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতিই বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। এই জনরোষের মুখে পড়েই এবার টুইটার ব্যবহারকারীদের সামনে বড় প্রশ্ন রাখলেন মাস্ক। জানতে চাইলেন, ‘টুইটারের প্রধান পদ থেকে কি আমি সরে দাঁড়াব?’
রোববার টুইটারে একটি পোল তৈরি করেন এলন মাস্ক। সেখানে জানতে চান, তার কি টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
টুইটে এলন মাস্ক বলেন, আমি কি টুইটারের প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়াব? এই পোলের যা ফলাফল আসবে, আমি তাই-ই মেনে নেব।
তিনি আরেকটি টুইটে টুইটারের সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে লেখেন, আগামী দিনগুলোতে বড় বড় নীতিগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোট করা হবে। আমি ক্ষমা চাইছি, এইরকম আর হবে না।
তৃতীয় টুইটে মাস্ক আরও লেখেন, কথায় রয়েছে, কী চাইছো, তা নিয়ে সতর্ক হও, হতেই পারে তা সত্য হয়ে গেছে।
এদিকে, রোববার টুইটারের পক্ষ্য থেকে ঘোষণা করা হয়, যে সমস্ত অ্য়াকাউন্ট অন্য কোনও অ্যাকাউন্ট বা কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও মাস্টোডন-র হয়ে প্রচার করে, সেই অ্যাকাউন্টগুলিকে বন্ধ করে দেয়া হবে। এই ঘোষণার পরই আরও বিতর্ক তৈরি হয়।
উল্লেখ্য়, টুইটারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি এলন মাস্ক। টুইটারকে লাভজনক বানাতে একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারমধ্যে অন্যতম হল টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই। তবে সম্প্রতিই একাধিক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পরই টুইটারে বাক স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র: এনডিটিভি, এএফপি