ডলারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি আপাতত অব্যাহত থাকবে। তবে এই পদ্ধতি ডলারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। ডলারের মধ্য দর ১১৭ টাকার সঙ্গে আরও আড়াই শতাংশ যোগ করে সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করা যাবে। নতুন এই দর মঙ্গলবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ডলারের দাম সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১২০ টাকা পর্যন্ত। সর্বনিম্ন দরও বেড়েছে। এই দর বেড়ে ১১৯ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছে। ফলে একদিনে ডলারের ২ টাকা বেড়েছে। আগে প্রতি ডলার ১১৮ টাকা করে বিক্রি হতো।
সূত্র জানায়, গত ৯ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোতে ডলারের লেনদেনে ক্রলিং পেগ (ডলারের দাম একটি সীমার মধ্যে বেঁধে দিয়ে ওঠানামার সুযোগ দেওয়া) পদ্ধতি চালু করে। এই পদ্ধতিতে প্রতি ডলারের মধ্য দর নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা। ব্যাংকগুলো এর থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা বেশি বা এক টাকা কমে বেচাকেনা করতে পারবে। এ হিসাবে ডলারের দাম হয় সর্বনিæ ১১৬ থেকে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা। ওই দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে ওই দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছিল না। যে কারণে নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়ে ডলারের দাম বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে কিছুটা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডলারের দাম এখন সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারবে। তবে মধ্য দর ১১৭ টাকা অপরিবর্তিত থাকবে। ডলারের দামের নতুন দর কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনেই মধ্য দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি হয়েছে।
এই দফায় ডলারের দাম সর্বোচ্চ ২ টাকা বেড়েছে। সর্বনিæ হিসাবেও ২ টাকার বেশি বেড়েছে। ব্যাংকগুলো এখন থেকে আমদানির জন্য সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করে ডলার বিক্রি করতে পারবে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ডলার ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৯ টাকা দরে কিনছে ব্যাংকগুলো। ফলে প্রবাসীরা ও রপ্তানিকারকরাও প্রতি ডলারের বিপরীতে গড়ে ২ টাকা করে বেশি পাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে। ফলে বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। এতে টাকার মান স্থিতিশীল হবে। ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা চাপ বাড়লেও ডলারের প্রবাহ বাড়লে তা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
এদিকে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৭ টাকা করে। ঢাকার বিমানবন্দরসহ কিছু এলাকায়ও প্রতি ডলার ১২৬ থেকে ১২৭ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।