অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগ, ব্রেনস্ট্রোক ও কিডনি বিকলসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যুর পরিমাণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. শেখ শহীদুল্লাহ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের লক্ষ্মীখোলা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ডা. শেখ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সময় মত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নানা রকম জটিল রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘যে কোনো রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করতে হলে আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পক্ষান্তরে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের একটি বিশাল সংখ্যা আছেন যারা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন অথচ তারা জানেন না। এর কারণ হলো- নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীনতা ও সচেতনতার অভাব। এছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে অর্থব্যয়ের হিসাব করেন তারা।’
আবার অনেকের মধ্যেই নিজের সম্পর্কে অতি উচ্চ ধারণা যে আমার এ সমস্ত রোগ হবে না এমন চিন্তা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খুলনার বাসিন্দাদের সেবায় পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় তিনটি ডায়াবেটিস সেন্টার গড়ে তুলেছেন ডা. শেখ শহীদুল্লাহ।
এছাড়াও এসব সেবা মানুষের হাতের কাছে পৌঁছে দিতে একাধিক সাপ্তাহিক ফ্রি ফ্রাইডে মেডিকেল চেকআপ সেন্টার গড়ে তুলেছেন তিনি।
এই কর্মসূচির আওতায় লস্কর ইউনিয়নের বাতিঘরের উদ্যোগে আসলাম ফার্মেসিতে প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২৫ জন রোগীকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও ওজন মেপে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অতিরিক্ত ওজনধারীদের চিহ্নিত করে তাদের করণীয় নির্ধারণে মৌখিক পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার লক্ষ্মীখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে ১১৭ জনকে সেবা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৩৯ জন ডায়াবেটিস, ১৭ জন উচ্চ রক্তচাপ ও ২০ জন অতিরিক্ত ওজনধারী ছিলেন।
ডা. শেখ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘এই কর্মসূচি এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি বিশেষ পরিবর্তন আনবে। এটি নিয়মিত অব্যাহত রাখা হবে।’