ডিজিটাল পদ্ধতিতে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ পদ্ধতিতে ১০০ কোটি টাকা ক্ষুদ্র ঋণ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগের নাম দিয়েছে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপ, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে এ ঋণ বিতরণ করা হবে। বৃহস্পতিবার ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’র নির্দেশনা সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী সব তফসিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ ঋণ বিতরণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এ স্কিম থেকে প্রথমে ৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে বিতরণ করা ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৫০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন করা হবে। ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় পুনঃঅর্থায়নের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। ঋণ গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহককে তা পরিশোধ করতে হবে।
‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “ডিজিটাল মাধ্যম (ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপ, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ই-ওয়ালেট ইত্যাদি) ব্যবহার করে তফসিলি ব্যাংক হতে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান।”
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই পুরো ঋণদান, প্রসেসিং থেকে শুরু করে ঋণ আদায় পর্যন্ত, ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
কোনো ব্যক্তি যে ব্যাংক থেকে এই ক্ষুদ্র ঋণ নিতে চাইবেন, তাকে ওই ব্যাংকের গ্রাহক হতে হবে।