আব্দুর রশিদ, খুলনা :
ডুমুরিয়ার আটলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি এবং দক্ষিণ চাকুন্দিয়া দুই গ্রামের মধ্যে অবস্থিত ৩ কিলোমিটারের দুইটি ইটের সলিং রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তে পরিনত হয়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থী, মুসল্লী ও রোগীসহ সাধারণ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে যাতায়াত করছে । দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও যেনো বিষয় টি দেখার কেউ নেই?
প্রত্যান্ত এ জনপদ অভ্যান্তরে ও সর্ব দক্ষিণে দ্বিতল বিশিষ্ট গোবিন্দকাটি দঃ চাকুন্দিয়া সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়, চাকুন্দিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, বৃহৎ একটি জামে মসজিদ ও একটি মক্তবখানা রয়েছে। স্কুলটি রয়েছে প্রায় ৫শ’ ছাত্র-ছাত্রী। চুকনগর, চাকুন্দিয়া ও গোবিন্দকাটিসহ বিভিন্ন এলাকার অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে প্রতিদিন আসতে হয় ক্লিনিকে। নামাজ আদায় করতে মসজিদে আগত মুসল্লীগনের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তা দুটি।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের আয়েজের বাড়ি কলাতলা মোড় হতে স্কুল অভিমুখে এবং চাকুন্দিয়া দোকান ঘর হোসেন মোড়লের বাড়ির মোড় হতে দুই’টি রাস্তা প্রায় ৩ কিলোমিটার স্কুল এলাকায় মিলিত হয়েছে। ছাত্র ছাত্রী ও ক্লিনিক আগত রোগীসহ সাধারণ মানুষের জন্য রাস্তা দুটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কৃষি প্রধান এলাকার উৎপাদিত পন্য ধান,মাছ,সবজি বাজার জাত করতে এ রাস্তা ব্যাবহার হয়ে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন রাস্তা দুটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা পানিতে মিশে একাকার হয়ে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী সহ সর্বসাধারণের। কৃষক আবু সালাম হালদার, ব্যাবসায়ি মোশাররফ হোসেন মোড়ল, আব্দুল জব্বার গাজী, শেখ ইমান আলী, এসএমসি সভাপতি শেখ আব্দুস সাত্তার, নুর ইসলাম মোড়ল, প্রধান শিক্ষক মোঃ অব্দুস সাত্তার, শিক্ষক আলি মুনসুর মোড়ল, শওকাত আলি সরদার, শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক,ক্লিনিকের চিকিৎসক ইউনুস আলিসহ এলাকাবাসী জনদূর্ভোগ লাঘবে রাস্তা দু’টি কার্পেটিং ও পাকা করণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট উধর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র এমপি’র মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বিভিন্ন প্রোগ্রামে ব্যাস্থ রয়েছেন বলে জানাগেছে। ফলে তার কাছ থেকে কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।