ঢাকার নবাবগঞ্জে অপহরণের পর যুবক হত্যা মামলার আসামী লিটন’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরনসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ০৬ আগস্ট ২০২২ খ্রীঃ তারিখ বিকালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন দিঘীরপাড় এলাকায় বসবাসরত মাজহারুল ইসলাম মাজু (১৮) নামক পেশায় অটোরিক্সা চালক এক যুবক তার বাসা হতে একই গ্রামের তার এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। অনেকক্ষণ যাবৎ তার কোন খোঁজখবর না পেয়ে মাজু’র বড় বোন তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে বলে যে, তারা তার ভাই মাজু’কে অপহরণ করেছে। তাকে জীবিত পেতে হলে ৫০,০০০/- টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বোন মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে র্যাব-১০ এর নিকট অভিযোগ দায়ের করে।
৩। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৯ আগস্ট ২০২২ খ্রীঃ তারিখ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন পূর্ব রসুলপুর আসরাফাবাদ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন অপহরণকারী মোঃ আবু হোসেন লিটন (২০)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অতপর গ্রেফতারকৃত লিটন’কে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত অপহরণের সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। সে আরো জানায় মুক্তিপণের ৫০,০০০/- টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ভিকটিম মাজু’কে চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এবং তার লাশ ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাধীন দিঘীরপাড় এলাকার একটি পুকুরপাড়ে লুকিয়ে রেখেছে। পরবর্তীতে আসামীর দেখানো মতে র্যাব-১০ উক্ত স্থান হতে অর্ধগলিত অবস্থায় মাজহারুল ইসলাম মাজু (১৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় উক্ত স্থান হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু, ভিকটিমের ব্যবহৃত রুপার চেইন ও সেন্ডেল উদ্ধার করে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।