কুষ্টিয়া জেলা প্রতিবেদক:
চাচা ফারুক শেখের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বেলি রোডে অগ্নি কান্ডে নিহত বৃষ্টি খাতুনের লাশ।
রাত সাড়ে আটটার সময় বৃষ্টি খাতুন মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছালে গ্রামের মানুষ ও আত্মীয়স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে বাবা এবং মা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে মৃত বৃষ্টি খাতুনের আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
দীর্ঘদিনের চেনা সহপাঠীরাও এসেছিল শেষ বিদায় দিতে মিষ্টি খাতুনের বাড়িতে। মুসলিম রীতি নীতি মোতাবেক মরদেহ পৌঁছানোর পর গোসল ও কাফন দাফন শেষ করে স্থানীয় ইমামের মাধ্যমে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় নিজ বাড়ি খোলাটে।
পরে বাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে বড় চাচা ফারুক শেখের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা। থানা অফিসার ইনচার্জ আননূর যায়েদ, বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ওরফে জমির মাস্টার, ৭ নং বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান সহ গ্রামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ সহ মৃত মিষ্টি খাতুনের আত্মীয়স্বজন।
উল্লেখ্য গত ২৯ শে ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অফিস স্মৃতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুন মৃত্যু বারণ করে।
পরিচয় জটিল তাই দীর্ঘ ১১ দিন পর আদালতের মাধ্যমে সোমবার সকালে বাবা সবুজ হোসেনের কাছে হাসপাতাল মর্গ কর্তৃপক্ষ বৃষ্টি খাতুনের লাশ হস্তান্তর করেন।