ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) ভোর থেকে সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় থেমে থেমে চলছে বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মহাসড়কে চারলেন নির্মাণ ও নলকা সেতুর সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ১৫ মার্চ (মঙ্গলবার) ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে সড়কে যানবাহনের ধীরগতির কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় যা শুক্রবার পর্যন্তও স্বাভাবিক হয়নি। এতে করে যাত্রী-চালক ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
ঢাকাগামী ট্রাকচালক আরমান জানান, বগুড়া থেকে কাঁচাপণ্য নিয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছানোর পর থেকে সড়কে ধীরগতি ও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে কামারখন্দ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে কড্ডা মোড়ে পৌঁছাই। সেখান থেকেও সয়দাবাদ পর্যন্ত যানজট। সড়কেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে পণ্যগুলো পৌঁছাতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে।
রাজশাহীগামী যাত্রী জান্নাত জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করে কিছুটা পথ আসার পর থেকে যানজটে পড়ে আছি। ১০ মিনিটের সড়ক অতিক্রম করতে লাগছে দুই ঘণ্টা। কখন বাড়ি পৌঁছবো ঠিক নেই।
কামারখন্দ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীর জানান, মহাসড়কের চারলেন নির্মাণ ও নলকা সেতুর সংস্কার কাজ চলমান থাকায় একলেন দিয়েই ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলাচল করাতে হচ্ছে। এতে সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে নলকা সেতুর কাজ কিছুটা সম্পন্ন হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।