#‘খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা আবারো বলছি, সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পালটা প্রশ্ন করে বলেছেন, সরকার কেন দায়িত্ব নেবে?
শনিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের পালটা প্রশ্ন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের আন্দোলনে তিনি (খালেদা জিয়া) কি মুক্ত আছেন? এটা শেখ হাসিনারই উদারতা-মানবিকতা। এজন্য মুক্ত আছেন তিনি। বাসায় থাকার অধিকার পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। তাদের এত যদি ইচ্ছা হয়, দেশের বাইরে থেকে চিকিৎসক আনুক। অসুবিধা তো নাই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় দেখছে, ফলে তারা ভালো বলতে পারবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল (শুক্রবার) গভীর রাতে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এরপর ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন-উজ জামান ও অধ্যাপক সামস মনোয়ার রয়েছেন এই বোর্ডে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এ বৈঠকে যোগ দেন।
দুপুরে জরুরিভিত্তিতে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম পরীক্ষা শুরু হয়।রিপোর্টে একটি ৯৫ শতাংশ ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানো হয়েছে বলে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ নিশ্চিত করেন।
শনিবার বিকালে এক ব্রিফিংয়ে ফখরুল বলেন, হার্টের সমস্যার চিকিৎসা শেষে আপাতত খালেদা জিয়া রিলিফ পেয়েছেন।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।