ক্ষমতাশীন আওয়মীলীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম সম্মেলন সন্নিকটে। এরই মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসতে কমিটির বিভিন্ন পদের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তাদের মধ্যে আলাদাভাবে নজর কেরেছেন সাধারণ সম্পদক প্রার্থী রুবেল হোসেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে সর্বকণিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
গতকাল শনিবার মনোয়নপত্র জমা দিতে আসা রুবেল জানান, বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা। সেই থেকে বঙ্গবন্ধুকে জানার চেষ্টা করি। সেই ভালোবাসা থেকেই আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন ইউনিয়ন থেকে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের প্রতি ভালোবাসা ও পরিশ্রম দিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কাজ করতে চাই।
আমাকে যদি নেত্রী সুযোগ দেন তাহলে আমি বর্তমান ছাত্রলীগের চেয়ে সেই ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু হাতে গড়া ছাত্রলীগকে ফিরিয়ে আনতে চাই। সঠিক নেতৃত্ব তৈরি ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে সেই পুরনো ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু কণ্যা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা আপার হাতে তুলে দিতে চাই।
আমি দায়িত্ব পেলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা মেয়াদপূর্তির আগে এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসবো। ছাত্রদের হাতে ছাত্রলীগের দায়িত্ব থাকবে। অছাত্র ও বসয়স্ক মুক্ত ছাত্রলীগ গড়ে তুলবো। আমার উদ্দেশ্য থাকবে মেধাবীরা ছাত্রলীগ করার পর বেকার না থাকে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠে । ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে থাকবো । বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে নেত্রীর দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে যাবো। আগামীদিনের ছাত্রলীগের নেতৃত্বের উদ্দেশ্য হবে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর গঠনকরা সেই ছাত্রলীগকে ফিরিয়ে আনা। আমি আশা করি বিশ্ব সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যোগ্য ছাত্রলীগ নেতৃত্ব বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে উপহার দেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের কবি নজরুল সরকারি কলেজের সহ সম্পাদকের সফল দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন উল্লেখ করে রুবেল বলেন, আমার পারিবারিক রাজনৈতিক শিক্ষা রয়েছে। পরিবারের থেকে আমি রাজনৈতিক দিক্ষা পেয়েছি। তাই ক্ষমতা পেলেই নাকি আলাদীনের চেরাগ পাওয়া যায় আমি এই প্রথা ভাঙতে চাই। পরিস্কার ও কলঙ্ক মুক্ত ছাত্রলীগ তৈরি করাই আমার এক মাত্র উদ্দেশ্য।
ছাত্রলীগের রাজনীতি কার রুবেল সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে রুবেল নিজ এলাকা মাদক ও কিশোর গ্যাং মুক্ত করতে কাজ করেছেন। পড়াশোনায় মেধার স্বাক্ষর রাখা রুবেল দরিদ্র ও ঝড়ে পরা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে গঠন করেছেন হিউম্যান এইড ওয়েফেয়ার ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংগঠন। এরমাধ্যমে নিজ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীদের ফিরিয়েছেন বিদ্যালয়ে।
করোনার সময়ে পরিবার থেকে টাকা এনে সাধারণ মানুষের মাঝে নগদ অর্থ ও বিভিণ্ন সহযোগীতা করে গেছেন। সহযোগিতা ছাড়াও করোনা থেকে বাঁচতে সচেতনা তৈরিতে কাজ করে গেছেন এই তরুণ রাজনীতিক।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী পদ-প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্তসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদান প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এতে সভাপতি পদে ৯৬টি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৭টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।