ফলাফলে বদল আসেনি। রোববার রাতের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে ৭ রানে হেরেছিল দুর্বার রাজশাহী। সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। আজ ফের মাঠে নামতে হয় তাদের, সামনে স্বাগতিক চিটাগং কিংস। তবে এই ম্যাচের আগে সেঞ্চুরিয়ান বিজয়কে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরিয়ে দেয় রাজশাহী। তবে এই সিদ্ধান্ত মোটেও ফল বয়ে আনেনি।
চিটাগংয়ের কাছে এককথায় ভরাডুবি হয়েছে রাজশাহীর। স্বাগতিকদের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮০ রানেই গুটিয়ে গেছে তাসকিনের দল। এতে বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১১ রানে জয় পেয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের চিটাগং।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে চিটাগং। ওপেনার নাঈম ইসলামের ফিফটির (৫৬) সঙ্গে গ্রাহাম ক্লার্ক (৪৫), মোহাম্মদ মিঠুন (৩২) ও হায়দার আলীদের (২৫) সময়োপযোগী ইনিংসে ২০ ওভার শেষে দলটির স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৯১।
রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক তাসকিন এবং মোহর শেখ।
১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন কূলকিনারা খুঁজে পায়নি রাজশাহী। দলের ১১ ব্যাটারের মধ্যে কেবল দুইজন দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ রান এসেছে দলটির সদ্য সাবেক অধিনায়ক বিজয়ের ব্যাটে। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ১৪.২ ওভারে ৮০ রান তুলতেই সব উইকেট খুইয়ে বসে উত্তরবঙ্গের দলটি।
রাজশাহীর হতশ্রী ব্যাটিংয়ের দিনে চিটাগংয়ের সাত বোলারের সবাই অন্তত একটি করে উইকেট পেয়েছেন। সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট গেছে শরিফুল ইসলাম এবং নাঈম ইসলামের ঝুলিতে।
বড় জয়ে ফরচুন বরিশালকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে চিটাগং। বরিশালের সমান ১০ পয়েন্ট পেলেও নেট রানরেটে এগিয়ে চট্টলার দলটি। আর শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে রাজশাহী, তাদের পয়েন্ট ৬।