Wednesday , 24 April 2024
শিরোনাম

“তুমি একজন মানুষকে হত্যা করা মানে সমগ্র মানব জাতিকে হত্যা করলে”-শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি

মাসুদ রানাঃ- চাঁদপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করে ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করাই এই সমাবেশের লক্ষ্য।

শনিবার ১ অক্টোবর সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা.দীপু মনি।

প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন, আগের দিনের মতো সমাজে আর একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি নেই। হিন্দু- মুসলিম, ধনী-গরিব সবার পরিচয় আমরা মানুষ৷ সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করেছিলেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনের এ ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। ধর্মের নামে নির্জাতন নিপীড়ন চলবে সেটা আমরা চাইনি, তুমি একজন মানুষকে হত্যা করা মানে সমগ্র মানব জাতিকে হত্যা করলে।

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন এবং এম আর ইসলাম বাবুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সহঃ সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, পৌর চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জুয়েল, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা সিভিল সার্জন সাহাদাত হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, জেলা ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্লাহ পাটওয়ারী, ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সিরাজুদ্দীন খন্দকার, চাঁদপুর জেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডঃ রঞ্জিত রায় চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সমগ্র জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকাতে হবে।’ আন্ত:ধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংগত রাখা, অসাম্পদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নেয়াই আমাদের সকলের দায়িত্ব। এতে দেশে শান্তি বিরাজ করবে। সম্প্রদায় সম্প্রদায়ে ভ্রাত্বিত্ববোধ জেগে উঠবে।

 

বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার বলেন, বিশেষ কোনো মহল বা ব্যক্তি কোনো ধরনের উসকানি দিয়ে যাতে এই এলাকার মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে ফায়দা লোটার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে সকল ধর্ম ও শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দকে সতর্ক থাকতে হবে।

Check Also

কয়রায় নীতি সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধান কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ খুলনার কয়রায় ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা ভিত্তিক (সিএসও) নেটওয়ার্ক সদস্যদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x