আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়কে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের মেয়েকে চাপা দিয়ে মারা ট্রাকের চালক রাজু আহমেদ শিপনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।১৮ জুলাই সোমবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাজু দুর্ঘটনার সময়ের বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে র্যাবকে।
১৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হয়। অভিযুক্ত ট্রাকচালক রাজু রাজশাহী জেলার বাঘা থানার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, দুর্ঘটনার পর উপস্থিত লোকজন ট্রাকটি থামায়। তখন সুযোগ বুঝে গ্রেপ্তার রাজু ঢাকাগামী একটি বাসে উঠে পড়ে। পরবর্তীতে বাস থেকে সে ময়মনসিংহ বাইপাসে নামে এবং সেখান থেকে একটি সিএনজি করে প্রথমে মুক্তাগাছা এবং পরে অপর একটি বাসে করে সে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পৌঁছায়। সেখান থেকে সে তার পরিচিত বিভিন্ন ট্রাক চালকের ট্রাকে উঠে আত্মগোপনে থাকে। গতকাল এমন একটি ট্রাক সাভারে পৌঁছালে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রাজুর কাছ থেকে জানা যায়, বিগত ৬-৭ মাস পূর্ব থেকে সে শতকরা ১০ শতাংশ কমিশনে বর্তমান ট্রাকটি চালাত। গাড়িটিতে করে সবসময় কাঁচামাল পরিবহন করা হত। গাড়িটির বর্তমানে ট্যাক্স টোকেন এবং ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ। গাড়িটির ধারণ ক্ষমতা ৭ টন হলেও দুর্ঘটনার সময় গাড়িটির ওজন ১৩.৫ টন ছিল বলে জানা যায়। এ ছাড়া গ্রেপ্তার রাজুর ভারী যানবাহন চালনার জন্য কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। পূর্বে তার মধ্যম সারির গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল যা ২০১৬ সালে হারিয়ে যায়।
এসময় জানান,রাজু ২০০২ সালে যশোরের এক ট্রাক ড্রাইভারের হেলপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ওই দুর্ঘটনায় তার বাম পা মারাত্মকভাবে জখম হওয়ার ফলে সে প্রায় ৬ বছর গাড়ি চালায়নি। তার এখনও বাম পায়ে সমস্যা রয়েছে। বিগত ১০ বছর ধরে সে নিয়মিত বিরতিতে ট্রাক চালাচ্ছে।ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়কে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের মেয়েকে চাপা দেওয়া ট্রাকের চালক রাজু আহমেদ শিপনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাজু দুর্ঘটনার সময়ের বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে র্যাবকে।
১৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হয়। অভিযুক্ত ট্রাকচালক রাজু রাজশাহী জেলার বাঘা থানার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, দুর্ঘটনার পর উপস্থিত লোকজন ট্রাকটি থামায়। তখন সুযোগ বুঝে গ্রেপ্তার রাজু ঢাকাগামী একটি বাসে উঠে পড়ে। পরবর্তীতে বাস থেকে সে ময়মনসিংহ বাইপাসে নামে এবং সেখান থেকে একটি সিএনজি করে প্রথমে মুক্তাগাছা এবং পরে অপর একটি বাসে করে সে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পৌঁছায়। সেখান থেকে সে তার পরিচিত বিভিন্ন ট্রাক চালকের ট্রাকে উঠে আত্মগোপনে থাকে। গতকাল এমন একটি ট্রাক সাভারে পৌঁছালে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রাজুর কাছ থেকে জানা যায়, বিগত ৬-৭ মাস পূর্ব থেকে সে শতকরা ১০ শতাংশ কমিশনে বর্তমান ট্রাকটি চালাত। গাড়িটিতে করে সবসময় কাঁচামাল পরিবহন করা হত। গাড়িটির বর্তমানে ট্যাক্স টোকেন এবং ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ। গাড়িটির ধারণ ক্ষমতা ৭ টন হলেও দুর্ঘটনার সময় গাড়িটির ওজন ১৩.৫ টন ছিল বলে জানা যায়। এ ছাড়া গ্রেপ্তার রাজুর ভারী যানবাহন চালনার জন্য কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। পূর্বে তার মধ্যম সারির গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল যা ২০১৬ সালে হারিয়ে যায়।
এসময় জানান,রাজু ২০০২ সালে যশোরের এক ট্রাক ড্রাইভারের হেলপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ওই দুর্ঘটনায় তার বাম পা মারাত্মকভাবে জখম হওয়ার ফলে সে প্রায় ৬ বছর গাড়ি চালায়নি। তার এখনও বাম পায়ে সমস্যা রয়েছে। বিগত ১০ বছর ধরে সে নিয়মিত বিরতিতে ট্রাক চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে,ময়মনসিংহের ত্রিশালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্তা স্ত্রী স্বামী সন্তানসহ নিহত হয়েছেন।১৬ জুলাই শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৪১), স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) ও মেয়ে সানজিদা(৬)। এ ছাড়াও দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্তা নারীর পেটের সন্তান বেরিয়ে আসে। নবজাতক এখনও বেঁচে আছেন। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাককে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়,ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্তা স্ত্রীর নিয়মিত চেকআপ করানোর জন্য দুপুরে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে একটি আলট্রাসনোগ্রাফি করতে দিলে তিনি একটি বেসরকারী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফ করানোর পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাদেরকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জানান,এসময় অন্তঃসত্তা স্ত্রীর পেট ফেটে বাচ্চা বের হয়।অলৌকিক ভাবে সেই বাচ্চাটি এখনো বেঁচে রয়েছে।