আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে পৌর বিএনপির অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় জুতা ঝাড়ু নিয়ে এক বিশাল মিছিল ত্রিশাল বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় মিছিলে ময়মনসিংহ(দঃ)জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাক্তার মাহবুবুর রহমান লিটন এর বিরুদ্ধে উত্তপ্ত স্লোগান প্রদান কারেন।পৌর বিএনপি’র সহস্রাধিক নেতাকর্মীর এই স্লোগানে স্লোগানে ত্রিশাল পৌর শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
মিছিলে নেতৃত্বদেন আলহাজ্ব তারেকুল ইসলাম (সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ত্রিশাল পৌর যুবদল,সাব্বির আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ময়মনসিংহ জেলা যুবদলের সদস্য হুমায়ূন করীর,অহিদুল ইসলাম,মাহবুল অলম,আবু সাঈদ সরকার (সুমন),সভাপতি জাতীয়তাবাদী জনতা দল ত্রিশাল পৌরসভা বাছির মন্ডল, ত্রিশাল পৌর যুবদল, আমিরুন ইসলাম, আহবায়ক ত্রিশাল পৌর ছাত্রদল,আবু সালেম,সদস্য সচিব ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রদল।
এখানে উল্লেখ্য যে ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ত্রিশাল পৌর বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।শুক্রবার বিকেলে ডাক্তার মাহবুবুর রহমান লিটনের বাসায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোট বা সমর্থন ছাড়াই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করলে এই ঘটনা ঘটে।
নেতাকর্মীরা জনান,কাউন্সিলরদের সমর্থন বা ভোট ছাড়াই সুপার ফাইভের ব্যক্তিগত রেজুলেশনের ভিত্তিতে সভাপতি পদে আলেক চান দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিলনের নাম প্রস্তাব করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন।এতে অন্যান্য প্রার্থী,কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।এক পর্যায়ে পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিত সমর্থকদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোটা,আগ্নেয়াস্ত্র,দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম মিন্টু,আবদুল জলিল,গিয়াস উদ্দিন,ফুয়াদ,গোলাম মোর্শেদ,ফজলুল হক,রুহুল আমিন,তোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়াও সাংবাদিক রুকুনুজ্জামান রাহাতসহ আহত হন ১৫ জন।পরে তাঁদের ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মুমূর্ষ সাংবাদিক রাহাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।সাংবাদিকর রাহাতের অবস্থা সঙ্কটজনক।