একটু সুখের আশায় সহায়সম্বল বিক্রি করে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে এসেও দালালের খপ্পরে পড়ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে দুই থেকে চার মাসের বেশি সময় বেকার থাকছেন অনেকে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
জনশক্তি রফতানির সব নিয়মনীতি মেনে দালালরা কৌশলে হাজার হাজার ফ্রি ভিসাকে কন্ট্রাক্ট ভিসা বলে চালিয়ে দিলেও সৌদি আরবে এসে কাজ পাচ্ছেন না অনেকে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেকার ও অসহায় শ্রমিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন দেশের দালালের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিরাও। চক্রটির একটি অংশ বাংলাদেশে ভিসা বিক্রি করে, আরেকটি সৌদি আরব থেকে ভিসা সংগ্রহ এবং অন্যটি বেকার অসহায় শ্রমিকদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বস্বান্ত করে। প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে অনেক শ্রমিক দেশে ফিরলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, সৌদি আরব এসেছি আর্মেনিয়া ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে। এখানে আসতে ৪ লাখ টাকার ওপর খরচ হয়েছে। এখানে এসে গত ২ মাস বেকার বসে আছি।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, সৌদি আরব এসেছি এক মাসের বেশি হয়ে গেছে। আসতে আমার চার-পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এরপর থেকে বেকার বসে আছি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পাসপোর্টে থাকা ভিসায় উল্লেখিত কফিল বা কোম্পানি তাদের কোন খবর নিচ্ছে না। এমনকি অনেককে এয়াপোর্ট থেকেই বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে অন্য সাপ্লাইয়ারের কাছে।
জনশক্তি রফতানিতে খরচ ও দালালের দৌরাত্ম্য কমানো এবং প্রতিশ্রুত কোম্পানিতে কাজ ও ন্যায্য বেতন নিশ্চিতে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: সময় নিউজ