ভারতের উত্তর-পশ্চিমে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর। এতে বলা হয়, দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
শুক্রবার দিল্লির নজফগড়ের তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপাতত পরিস্থিতি পরিবর্তনের আভাসও নেই। আশঙ্কা করা হচ্ছে আপাতত গড় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে ঘরের বাইরে বের হওয়ার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এপ্রিলেও একইরকম গরমে পুড়েছে দিল্লি। এপ্রিলের গরমের মতো গরম দিল্লিতে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৫১ সালে। এবারের এপ্রিলে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ০.৩ মিলিমিটার। মার্চে অবশ্য স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছিলো দিল্লিতে।
মূলত এ বছরের মার্চ থেকেই তাপপ্রবাহ চলছে দিল্লিতে। মার্চে একটি তাপপ্রবাহের পরে এপ্রিলে আসে তিনটি তাপপ্রবাহ।
সাধারণভাবে যদি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হয় এবং স্বাভাবিকের থেকে তা যদি ৪.৫ ডিগ্রি বেশি থাকে, তাহলে সেখানে তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
কিছুদিন আগেই ভারতে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরই উত্তর ভারতের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি পেরিয়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে সেই দিকেই এগোচ্ছে দিল্লি।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাধারণত মে মাসকে সর্বাধিক গরমের মাস বলে মনে করা হয়। কিন্তু এবার উত্তর পশ্চিম ও মধ্য ভারতে এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৩৭.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৩.৩৫ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে মধ্য ভারতে ১৯৭৩ সালের এপ্রিলের গড় তাপমাত্রা ৩৭.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড এ বছর ভেঙেছে। সেই সময়েই মনে করা হচ্ছিলো ভয়ঙ্কর মে মাস আসতে চলেছে। কার্যত সেই অবস্থার মুখোমুখি উত্তর ভারত।