ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন অপরিহার্য: মিয়া নূরউদ্দিন আহাম্মেদ অপু নির্বাচনের তফসিল কবে, জানালেন ইসি আনোয়ারুল একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার চিন্তা করছে সরকার জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের রাতভর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার তিনজন রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত ন্যায়বিচার সবার জন্য, তবু গ্রামীণ দরিদ্ররা এখনো বঞ্চিত বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক ডিজিটাল কোর্ট ও অনলাইন বিচার: স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত না নতুন সংকট? কাপ্তাইয়ে পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার

দীপু মনির নির্দেশই সব কাজ হয়েছে, আমি দায়ী নই— আদালতকে কলিমুল্লাহ

সাংবাদিক
দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই নির্দেশ দেন।

কলিমুল্লাহকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে কারা কারা জড়িত, কাদের নির্দেশে তিনি দুর্নীতি করেছেন, তা উদ্ঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ সময় কলিমুল্লাহর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আপনি কেন এসব কাজে জড়িত হলেন?’ জবাবে কলিমুল্লাহ বলেন, ‘সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নির্দেশ অনুযায়ী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নকাজ হয়েছে। তাঁর নির্দেশেই সব কাজ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি দায়ী নই।’

পরে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে দুদকের বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

৭ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পুলিশ ড. কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। দুদক তাঁকে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৮ জুন বেরোবির একটি বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ‘অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ’ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) উপেক্ষা করে প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করেছেন।

সূত্রঃ আজকের পত্রিকা

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
৬৮৭ Time View

দীপু মনির নির্দেশই সব কাজ হয়েছে, আমি দায়ী নই— আদালতকে কলিমুল্লাহ

আপডেটের সময় : ০৫:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই নির্দেশ দেন।

কলিমুল্লাহকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে কারা কারা জড়িত, কাদের নির্দেশে তিনি দুর্নীতি করেছেন, তা উদ্ঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ সময় কলিমুল্লাহর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আপনি কেন এসব কাজে জড়িত হলেন?’ জবাবে কলিমুল্লাহ বলেন, ‘সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নির্দেশ অনুযায়ী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নকাজ হয়েছে। তাঁর নির্দেশেই সব কাজ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি দায়ী নই।’

পরে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে দুদকের বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

৭ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পুলিশ ড. কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। দুদক তাঁকে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ১৮ জুন বেরোবির একটি বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ‘অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ’ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) উপেক্ষা করে প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করেছেন।

সূত্রঃ আজকের পত্রিকা