মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম-রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগীর ইউনিয়নের দাহ্য পদার্থে দগ্ধ ইয়াছমিন আক্তার মারা গেছেন।
শনিবার ( ১৪ এপ্রিল) বিকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে মারা গেছেন। ইয়াছমিন আকতার উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ডিঙ্গললোঙ্গো এলাকার আবুল বাশারের মেয়ে। এ ঘটনায় ইয়াছমিন আকতারের আপন ভাই আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ গত (৪ মে) রাতে মো. আজিম (৩০) ইয়াছমিন আক্তারকে দাহ্য পদার্থে দগ্ধ ছুড়ে মারে। অন্যদিকে ইয়াছমিন আক্তারকে দাহ্য পদার্থে দগ্ধ
ছুড়ে মারার দায়ে মোঃ আজিমকে(৩১) রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব মিলকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দাহ্য পদার্থে দগ্ধ নিক্ষেপকারী মোঃ আজিম(৩০)’র সাথে ইয়াছমিন আকতারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে ইয়াছমিন বিয়ের প্রস্তাব দিলে খবর নিয়ে জানা গেছে আজিম বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। তারপর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ঘটনার দিন রাতে গত (৪ মে) ইয়াছমিনের বাড়ির জানালা দিয়ে আলাপ করার একপর্যায়ে হঠাৎ তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে আজিম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইয়াছমিন আক্তার ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে থানায় মো. আজিমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে চন্দ্রঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইয়াছমিন বড় ভাই প্রবাসী আবু তাহের বলেন–গত (৪ মে) রাত ২ টার দিকে হঠাৎ ইয়াছমিনের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি তার শরীরের আগুনের মত দাহ্য পদার্থ, অর্ধেক ঝলসে গেছে। তার এই অবস্থা কে করেছে জানতে চাইলে ইয়াছমিন বলেন– আজিম এ কাজ করছে, সে নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তাদের সহযোগিতায় ইয়াছমিনকে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চন্দ্রঘোনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থা গুরুত্বর দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এক দিন পর ইয়াছমিনের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।’
এ দিকে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব মিলকী বলেন, ‘ইয়াছমিন আকতারকে জানালায় ডেকে আলাপ করার সময় একপর্যায়ে মোঃ আজিম(৩০) তাকে দাহ্য পদার্থে দগ্ধ
নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় নিক্ষেপের একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইয়াছমিন আকতার মারা যাওয়ায় এখন এ মামলাটি হত্যা মামলায় হয়েছে।